রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১৬, ০৪:৪১:০৯

বঞ্চিত কর্মচারীদের গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

বঞ্চিত কর্মচারীদের গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও মানববন্ধন

মোঃ মামুনুর রশিদ মন্ডল , গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের লালমনিরহাট ডিভিশনের বামনডাঙ্গা সেকশনে কর্মরত ওয়েম্যান, ট্রলিম্যান, গেট কিপার, ইলেকট্রিশিয়ান ও খালাসি পদে ৮৪ জন কর্মচারী দীর্ঘ ১২ বছর কাজ করার পরেও তাদের চাকুরী স্থায়ী করা হয়নি। উল্টো বেতন ও কাজ সম্প্রতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এব্যাপারে হাইকোর্ট তাদের চাকুরী স্থায়ী করার আদেশ দিলেও আজও তা বাস্তবায়িত করা হয়নি।

চাকুরী থেকে ছাটাইকৃত ওইসব কর্মচারীরা তাদেরকে চাকুরীতে পুনঃবহাল করা এবং চাকুরী স্থায়ী করণের দাবিতে রোববার গাইবান্ধা প্রেসক্লাব সম্মুখস্থ সড়কে এক মানববন্ধনের কর্মসূচী পালন করে। পরে মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তারা অবিলম্বে উলে¬খিত দাবি বাস্তবায়নের দাবি জানান। এসময় বক্তব্য রাখেন জেলাল হোসেন, বিপ¬¬ব কুমার ঘোষ, জামাল মিয়া, সালাম মিয়া, ফারুক মিয়া, আবেদুল ইসলাম প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে উলে¬¬খ করা হয়, রেলওয়ের ওইসব কর্মচারী ৫ বছর থেকে বিভিন্ন মেয়াদে অস্থায়ী ভিত্তিতে মাস্টাররোলে নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিল। রেলওয়ে স্বীকৃত এসব কর্মচারীর মাসিক বেতন ৬ হাজার ২শ’ টাকা হলেও প্রতিমাসে ৪ হাজার ৫শ’ টাকা হারে বেতন দেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি মেনে নিয়েও তারা চাকুরী করছিল। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বরাবরে তাদের চাকুরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করে স্থায়ী করণের আবেদন জানানো স্বত্বেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ তা না করে বরং ওইসব পদে নতুন লোক নিয়োগ অব্যাহত রাখে। ফলে জীবন বাঁচানোর তাগিদে বাধ্য হয়ে লালমনিরহাট ডিভিশনের বামনডাঙ্গা সেকশনের ৮৪ জন দরিদ্র রেল কর্মচারী হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দাখিল করে (নং ২২৪৫)। এই মামলার রায়ে মহামান্য হাইকোর্ট ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাদের চাকুরী উন্নয়ন প্রকল্প থেকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের রায়ের অজুহাত দেখিয়ে আবারও নতুন করে ৯৮ জনকে চাকুরীতে নিয়োগ করা হলেও পূর্বের আবেদন করা ৮৪ জনকে এখনও নিয়োগ করা হয়নি। উপরন্ত গত ৩ মাস থেকে তাদের কাজ এবং বেতনও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে ওই সমস্ত দরিদ্র কর্মচারী পরিবার-পরিজন নিয়ে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছে।

বক্তারা বলেন, রেল কর্তৃপক্ষ সুপ্রিম কোটে আপিল করলে (রিট পিটিশন নং ১০২৬) উক্ত কর্মচারীদের চাকুরীতে বহাল করার আদেশ দেয়। সুপ্রিম কোর্টের রায় পাওয়ার পরও রেল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না  বলে তারা উলে¬খ করেন। কোটের রায়ে ২৪ জানুয়ারি রোববার ২০১৬ তারিখে ৭১ জনের চাকুরী স্থায়ী করা হলেও বাকি ৮৪ জনকে চাকুরী না দিয়ে তাদেরকে বিভিন্নভাবে হয়রানী করা হচ্ছে। বক্তারা তাদের চাকুরী স্থায়ী করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
২৪ জানুয়ারি ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস

 

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে