যশোর : দাদির ভিক্ষার টাকায় এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে চমক দেখালেন নাতি ইমন। দাদির সারাদিনের ভিক্ষার টাকায় পড়ালেখা করেছেন নাতি মেহেদী হাসান ইমন।
এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় তিনি যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ঝিকরগাছার রঘুনাথনগর মহাবিদ্যালয়ের বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
ইমনের বয়স যখন দেড় বছর, তখন মা কুলসুম খাতুন তাকে রেখে চলে যান। এর কিছুদিন পর বাবা ছিদ্দিক হোসেনও ফেলে চলে যান। ঝিকরগাছার নারাঙ্গালী গ্রামে দাদির বাড়ি থেকে তার বেড়ে ওঠা।
দাদা নুর ইসলাম ও দাদি আছিয়া খাতুনের সম্বল ছিল একটি খুপড়ি ঘর। অভাবের সংসারে নাতিকে নিয়ে কোনো মতে চলে তাদের সংসার। ইমনের বয়স যখন ১০/১২ বছর তখন তার দাদাও মারা যান।
এতে অসহায় হয়ে পড়েন দাদি আছিয়া খাতুন। একপর্যায়ে নাতিকে নিয়ে সংসারের হাল ধরতে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেন তিনি। তা দিয়েই লেখাপড়া চলতে থাকে ইমনের।
পাশাপাশি ইমন প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের খরচ জুগিয়েছেন। তিনি এসএসসিতেও গোল্ডেন-৫ পেয়েছেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে জিপিএ-৫ সহ বৃত্তি লাভ করেছেন।
অথচ ইমনের সেই খুপড়ি ঘরে ছিল না কোনো বিদ্যুৎ। সন্ধ্যা হলেই বৃদ্ধা দাদি কুপি জ্বালিয়ে দিয়েছেন ইমনের জন্য। সেই কুপির আলোয় পড়তেন ইমন।
পাশে বসে থাকতেন দাদি।
রঘুনাথনগর মহাবিদ্যালয়ের প্রভাষক মহসিন আলম মুক্তি জানান, ইমন ২০১৫ সালের উপস্থিত বক্তৃতায় উপজেলার সেরা হয়েছিল।
ইমন জানান, ভবিষ্যতে প্রকৌশলী হতে চান তিনি। কিন্তু তার এ ইচ্ছা নিয়ে চিন্তিত বৃদ্ধা দাদি আছিয়া খাতুন। এত খরচ বহন করার সাধ্য নেই তার।
এমএএস/এমএস২৮ আগস্ট, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম