এস আর সাঈদ. কেশবপুর (যশোর) থেকে: কেশবপুরে বিল খুকশিয়ায় মৎস্য ঘেরের ভেড়ীতে কুল চাষ করে সফলাতা পেয়েছেন সফল কৃষক আব্দুল হালিম খান।
সরেজমিন জানাগেছে, উপজেলার কাঁকবাধাল গ্রামের কৃষক পরিবারে সন্তান আব্দুল হালিম খান। পরিবার পরিজন নিয়ে অভাবের সংসার ছিল তাঁর। জলাবদ্ধা ছিল তাঁদের নিত্য সঙ্গী। বিলে কোন ফসল হত না। সরকার তখন কৃষকদের কথা চিন্তা করে বিলখুকসিয়া-সহ ঐ এলাকায় টিআরএম চালু করে। পলি পড়ে বিলের তলদেশ উঁচু হয়ে যাওয়ার পর টিআরএম বন্ধ করে দেওয়া হয়। ২০১০ সালে কৃষক আব্দুল হালিম তখন বিল খুকশিয়ায় ৫ বিঘার একটি ঘের করে মাছ চাষ শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১৪ সালে ১০ একর ও ২০১৬ সালে ২০ একর জমিতে মৎস্য ঘের করেন। ২০১৩ সালে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পরামর্শে তিনি মৎস্য ঘেরের ভেড়ীতে ২২০ টি কুলের চারারোপন করে ১ লাখ টাকার কুল বিক্রয় করেন। ২০১৪ সালে আরো ৫০০ টি কুলের চারারোপন করে ২ লাখ টাকার কুল বিক্রয় করেন এবং বিগত বছরে আরো ৭২০ টি কুলের চারা রোপন করে চলতি মৌসুমে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার কুল বিক্রয় করেছেন। আবার ঘেরের পাড়ে সিম, টমোটো, লাউ, ওলকপি, মিষ্টি কুমড়া-সহ বিভিন্ন প্রকার সবজী চাষ করে আরো ২ লাখ টাকা আয় করেছেন। কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের পরামশ্যে শুষ্ক মৌসুমে ঘেরের জমিতে লাইন ও লগো পদ্ধতিতে হাইব্রিড ধান রোপন, গুটি ইউরিয়া ও সুষম সার ব্যাবহার করে তিনি গত মৌসুমে ৩ লাখ টাকার ধান বিত্রয় করেছিলেন। তাছাড়া তিনি তাঁর ঘেরে রুই, মৃগেল, গলদা ও বাগদা-সহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করে ২৪ লাখ টাকার মাছ বিত্রয় করেছেন। যেখানে তাঁর ১৪ লাখ টাকা নীট লাভ হয়েছে। বর্তমানে তিনি পরিবার-পরিজন নিয়ে সুখে দিন কাটাচ্ছেন।
বর্তামানে কৃষক আব্দুল হালিম খান বিলখুকসিয়া ও ডহুরীর বিলে ৬০ জন কৃষককে উৎসায়িত করে তাদের ঘেরের ভেড়িতে কুল চাষ ও সবজি চাষের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ঐ সকল কৃষকও প্রতিবছর লাখ লাখ টাকা আয় করছেন।
২৪ জানুয়ারি, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস