যশোর: যশোরের মণিরামপুর উপজলোর দিগঙ্গা কুচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তির অনুষ্ঠানে এসে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে।
রোববার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দুইজনকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। এরা হলো- উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের হরেন মন্ডলের ছেলে প্রশান্ত মন্ডল (২৫) ও কুচলিয়া গ্রামের শুভংকর সরকার ওরফে কালিপদের ছেলে কমলেশ সরকার (২৩)।
এছাড়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত নেবুগাতি গ্রামের প্রশান্ত মল্লিকের ছেলে সত্যজিৎ বিশ্বাস (১৮) ও কুচলিয়া গ্রামের কার্তিক মন্ডলের ছেলে সুদীপ মন্ডল (১৭) আত্মগোপনে রয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার রাতে মামলা হয়েছে। নির্যাতিত ছাত্রীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার দিগঙ্গা কুচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলছিল। রোববার ছিল অনুষ্ঠানের সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠান চলাকালীন দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিল। এ সময় প্রশান্ত মন্ডল, কমলেশ সরকার, সত্যজিৎ বিশ্বাস ও সুদীপ মন্ডল ছাত্রীর বন্ধুদের মারপিট করে তাকে তুলে নিয়ে মাছের ঘেরপাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রণব বিশ্বাস বলেন, ওইদিন রাতে একটি মেয়েকে ধর্ষণ করা হচ্ছে- মোবাইলে এমন একটি খবর পাই। সঙ্গে সঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে থাকা লোকজনকে বিষয়টি জানাই। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুইজনকে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন তারা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মণিরামপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, নির্যাতিত ছাত্রীর স্বীকারোক্তি ও স্থানীয়দের ভাষ্যমতে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।