বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:৫৪:০১

চাচীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে বিয়ে করতে হলো ভাইপোকে!

চাচীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে বিয়ে করতে হলো ভাইপোকে!

যশোর থেকে : পরকীয়ায় ধরা খেয়ে দু-সন্তানের জননীকে (চাচী) এক কলেজ ছাত্র বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছে। স্থানীয় চেয়ারম্যানের শালিসী বৈঠাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত চুড়ান্তের পর বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
 
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাত অনুমান ৯ টার দিকে যশোরের কেশবপুর উপজেলার গবিন্দপুর গ্রামের মৃত আনিচুর রহমানের মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা ২ সন্তানের জননী ছায়েরা বেগমের সাথে পাশ্ববর্তী বাশবাড়িয়া গ্রামের মজিবার রহমান দরদারের কলেজ পড়ুয়া ছেলে নাসির হোসেন অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত অবস্থায় বাড়ীর পাশের একটি বাগানে স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে।
 
ছায়েরা বেগম সম্পর্কে নাসিরের চাচী হয়। রাত-ভর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় একটি কুচক্র মহল অর্থবানিজ্যের বিনিময়ে রফাদফা করতে ব্যর্থ হলে বৃহস্পতিবার সকালে উভায় পক্ষ সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্তর দরবারে সরানপন্ন হয়। 

উভায় পক্ষকে নিয়ে চেয়ারম্যান একটি শালিশী বৈঠাক বসান। এক পর্যায়ে উভায়ের বিয়ের প্রস্তাব চুড়ান্ত হওয়ায় চেয়ারম্যান উক্ত শালিশের ইতি টানেন। শালিসের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকাল ৪ টায় মেয়ের বাড়ীতেই এই জুটির বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
 
এই ঘটনার পূর্বেও স্বামী পরিত্যাক্তা এই মহিলার সাথে কলেজ ছাত্র নাসির আপত্তিকর অবস্থায় একবার ধরা খেয়েছিল। তাছাড়া শালিসের নিয়ম রক্ষার্থে এটি লোক দেখানো বিয়ে হচ্ছে। বিয়ের পরবর্তিতে দেন-মোহরের টাকা মেয়ে পক্ষকে পরিশোষ করেই তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হবে বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
 
এব্যাপারে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুস্তাফিজুল ইসলাম মুক্ত বলেন, নাসির ছেলেটি ভাল না। তার কারনে তার চাচীর সংসার ভেঙ্গে গেছে। এলাকার কিছু কু-চক্র মহল লম্পট নাসিরকে বাঁচানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে উভায়কে বিয়ে দেওয়া হয়েছে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে