যশোর থেকে : যশোরের চৌগাছায় ছাত্রলীগ নেতার বি'রু'দ্ধে স্ত্রীকে ভা'গিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ নেতা সোলাইমান হোসেন। তিনি বলেন, স্ত্রীকে ভা'গিয়ে নেয়ার অ'ভিযো'গে উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুর রহমানের (২৭) বি'রু'দ্ধে মামলা করায় এখন তাকে হ'ত্যার হু'মকি দেয়া হচ্ছে।
এদিকে, সাদেকুর তার বি'রু'দ্ধে আনীত সব অ'ভিযো'গ মি'থ্যা বলে দাবি করেছেন। রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে চৌগাছা উপজেলার স্বরূপদাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলাইমান হোসেন লিখিত বক্তব্যে এসব কথা তু'লে ধ'রেন।
সোলাইমান বলেন, বর্তমানে সাদেকুর বিভিন্ন মাধ্যমে তাকে হ'ত্যাসহ হাত-পা ভে'ঙে দেয়ার হু'মকি দিচ্ছে। দীর্ঘ দিন ধ'রে সিলেটে বসবাস করার পর জেলা শহরে ফিরে এসে আমাকে প্রা'ণনা'শের হু'মকি ধা'মকি দিয়ে যাচ্ছে। দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও সে অংশগ্রহণ করছে সে।
লিখিত বক্তব্যে সোলাইমান হোসেন বলেন, চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছোট দিঘড়ী গ্রামের আইজেল হকের ছেলে সাদেকুর রহমান পরীক্ষার ফরম পূরণ ও ফির টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন অ'জু'হাতে আমার বাড়িতে আসতো। এভাবে সে আমার স্ত্রী সালমা খাতুনের সাথে পর'কীয়া সম্পর্ক তৈরি করে। এ নিয়ে সংসারে অশা'ন্তি লেগেই থাকতো। ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই আমার শাশুড়ি রাবেয়া খাতুন ও তার দুই ছেলে মুছা ও ইব্রাহিম আমার বাড়ি আসে।
তাদের জন্য বাজার থেকে কেনাকাটা করে ফেরার পর জানতে পারি আমার ছেলে আবু বক্কার সিদ্দিকীকে (১১) ফেলে রেখে সালমা খাতুন ও তার পরিবারের সবাই ছাত্রলীগ নেতা সাদেকুরের সাথে চলে যায়। এসময় তারা আমার নগদ ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৭ লাখ টাকার সোনার গহনা নিয়ে যায়। এ ঘ'টনার পর স্ত্রী'কে ফিরিয়ে আনতে শ্বশুর বাড়ি গেলে আমাকে অ'শ্লী'ল ভাষায় গা'লিগা'লাজ করে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ ব্যাপারে ২০১৮ সালে সালের ৩ সেপ্টেম্বর আমি জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি।
তিনি আরো জানান, মামলার খবর পেয়ে সাদেকুর খু'ন করার হু'মকি দিতে থাকে আমাকে। ২০১৮ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কোটচাঁদপুর যাওয়ার সময় সাদেকুর তার সহযোগীদের নিয়ে ধা'রা'লো অ'স্ত্র দিয়ে আমার পথ আ'ট'কায়। এসময় তারা ১০ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়ায় তারা মা'রপি'ট করে এক লাখ ২০ হাজার টাকা ছি'নিয়ে নেয়। এ ঘ'টনায়ও ২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর আদালতে আবারো মামলা করেছি। বর্তমানে সাদেকুর বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে হ'ত্যাস'হ হাত-পা ভে'ঙে দেয়ার হু'মকি দিচ্ছে।
রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বিষয়ে সাদেকুর রহমান তার বি'রু'দ্ধে আনীত অ'ভিযো'গ মি'থ্যা ও ভি'ত্তিহী'ন দাবি করেন। বলেন, সোলাইমান প্রায়ই তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে মা'রধ'র করতেন। এ কারণে সালমা তাকে ২০১৭ সালে তা'লাক দেন। পরের বছর আমি পারিবারিকভাবেই তাকে বিয়ে করি। আমি তার বউকে ভা'গিয়ে নিয়ে যাইনি; তালাক হওয়া এক নারীকে বিয়ে করেছি। তাছাড়া সোলাইমানের বি'রু'দ্ধে এরকম আরও অ'ভিযো'গ রয়েছে। বিষয়টি দলের নেতাকর্মীরা সবাই অ'বহি'ত আছেন।