কেশবপুর (যশোর): পাবনার আতাইকুলা থানার ছাদ থেকে এসআই হাসান আলীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয় রোববার সকালে। পুলিশের দাবি হাসান আলী আত্মহত্যা করেছেন। তবে হাসানের পরিবারের দাবি- তার মৃত্যুর জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দায়ী।
এদিকে ভ্যান চালাতে গিয়ে রোববার সকালে ছেলের মৃত্যুর খবর পান এসআই হাসানের বাবা আব্দুল জব্বার।
পাবনার আতাইকুলা থানায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত এসআই হাসান আলীর বাড়ি কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামে। তার পিতা আব্দুল জব্বার পেশায় রিকশাভ্যানচালক। অনেক কষ্টে ছেলেকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়িয়েছেন। দুই বছর আগে হাসান আলী পুলিশের এসআই পদে নিয়োগ পান। তার পিতা এখনও রিকশাভ্যান চালান।
পেশায় ভ্যানচালক এসআই হাসান আলীর বাবা আব্দুল জব্বার বলেন, রোববার সকালেও তিনি ভ্যান চালতে গিয়েছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম সন্তানের মৃত্যর খবর পেয়েছিলেন।
পাবনার আতাইকুলা থানায় এসআই হাসান আলীর আত্মহত্যার কারণ অনুসন্ধানে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। বুধবার বিকালে প্রয়াত এসআই হাসান আলীর কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, হাসান আলীর পিতা আব্দুল জব্বার, মা মোছা. আলেয়া বেগমসহ তাদের নিকট আত্মীয় ৮ জনকে বৃহস্পতিবার সকালে পাবনা পুলিশ সুপারের (এসপি) কার্যালয়ে উপস্থিত হতে অনুরোধ করা হয়েছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি ৮ জনকে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আলম বলেন, পুলিশ সুপারে নির্দেশে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত দল ৫ কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করবেন।
তিনি আরও বলেন, কয়েকটি সম্ভাব্য তথ্য যাচাই করা হবে। হাসান আলী বিসিএস পরীক্ষার জন্য ছুটি নিয়েছিলে এ তথ্য ভুল। তবে তার ছুটি মঞ্জুর করা হলেও তিনি ছুটিতে যাননি। এদিকে তদন্তের স্বার্থে তিনি আর কিছু বলেননি।
পিতা মাতা ছাড়া পাবনায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার আরও উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে, হাসান আলীর মেঝ চাচা হাবিবুর রহমান, মেঝ চাচী হালিমা বেগম, ছোট চাচা মো. তবিবুর রহমান,ছোট চাচী মোছা. শাহিদা খাতুন, এলাকার মেম্বার মো. কামরুজ্জামান কামাল এবং মনিরামপুর থানার কোনাখোলা গ্রামের মো. রবিউল ইসলামকে।