ফেসবুকে ফেই'ক আইডির মাধ্যমে প্রতারণার ফাঁ'দ পেতে মোটা অঙ্কের টাকা আ'ত্মসাতের ঘটনায় প্রদীপ ঘোষকে (৫১) গ্রে'প্তার করেছে যশোর জেলা গোয়ে'ন্দা পুলিশ। সোমবার (৫ জুলাই) ভোর রাতে তালার ঘোষনগরস্থ নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রে'প্তার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা ও বিভিন্ন ডকু'মেন্টস উ'দ্ধার করা হয়েছে। প্রদীপ সাতক্ষীরা তালা উপজেলার খলিলনগর ইউনিয়নের ঘোষনগর গ্রামের সুবোধ ঘোষের ছেলে। তিনি পাশের উপজেলা পাইকগাছার কপিলমুনি বাজারের চা বিক্রেতা ছিলেন।
যশোর জেলা পুলিশের এক প্রেস বিজ্ঞ'প্তিতে জানানো হয়, প্রদীপ ঘোষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজেকে সৌমদীপ ঘোষ (সুসান্ত ঘোষ) নামে পরিচয় দিয়ে একটি ফেই'ক আইডি খু'লেন। তিনি নিজেকে জার্মান প্রবাসী পরিচয় দিয়ে জমি ক্রয়ের কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা রাণী দাসের কাছ থেকে গত জুন মাসে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে নগদ, বিকাশ ও চেকের মাধ্যমে মোট ২০ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা নেন।
প্রদীপ ঘোষ ওই শিক্ষিকার কাছ থেকে জমির দলিল তৈরির নামে এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইেজের ৩ কপি ছবি, স্বাক্ষরযুক্ত নন জুডিশিয়াল ব্লা'ঙ্ক স্ট্যাম্প, স্বাক্ষ'রযু'ক্ত ৩টি চেকও নেন। এরপর ওই শিক্ষিকা প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে আত্ম'সাৎকৃ'ত টাকাসহ অন্যান্য উপকরণগুলো উদ্ধারে ব্য'র্থ হয়ে যশোর কোতয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা করেন। যার নং-৮।
যশোর পুলিশ সুপার মামলাটির তদ'ন্তভার জেলা গোয়ে'ন্দা শাখায় পাঠালে গোয়ে'ন্দা শাখার অফিসার ইনচা'র্জ মাম'লাটির তদ'ন্তাভার এসআই (নি.) শামীম হোসেনের ওপর অর্প'ন করেন। এসআই মো. শামীম হোসেন সঙ্গীয় ফো'র্সসহ গোয়ে'ন্দা শাখার একটি চৌক'স টি'ম প্রদীপ কুমার ঘোষ ওরফে সঞ্জিত ওরফে সৌমদীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করেন। এসময় পুলিশ তার কাছ থেকে নগদ ১০ লাখ ৯৭ হাজার টাকা, বাদীর স্বাক্ষর সম্বলিত ব্লা'ঙ্ক চেক, বাদীর স্বাক্ষরিত ব্লা'ঙ্ক নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প-৩টি, বাদীর এনআইডি কার্ডের ছায়ালিপি ২টি, ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, বিভিন্ন দলিলের ছায়ালিপি, ৩টি মোবাইল সেট (ফেসবুক আইডি ব্যবহৃত ও বিকাশ নাম্বার), প্রদীপের ১টি পাসপোর্ট, সাড়ে ৩ ভরি স্বর্ণালংকা উদ্ধা'র করে।
প্রদীপ ঘোষ দীর্ঘদিন ধ'রে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনিতে চায়ের দোকান চা'লাতেন। পরে ফার্স্টফুডের ব্যবসা করতেন। ওই সময় কপিলমুনি সদরের পালপাড়ার জনৈক অনিমেশ মন্ডলের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করতেন। সম্প্রতি তিনি কপিলমুনির বাজারের এক ওষুধ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ৮ শতক জমি ক্রয় করে বাড়ি তৈরি করে সেখানে বসবাস করেন।