সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০১৬, ১২:১১:৩৫

৪৬৪ শিশুর মুখে হাসি, চোখে আনন্দের ফুলকি

৪৬৪ শিশুর মুখে হাসি, চোখে আনন্দের ফুলকি

যশোর : ৫৬টি স্কুলের ৪৬৪ জন দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীর মুখে হাসি ফটেছে। চোখে আনন্দের ফুলকি। যশোরের শার্শা উপজেলার এসব শিশুরা বিনামূল্যে স্কুলড্রেস পেয়ে তারা বেজায় খুশি।

রোববার শার্শা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর শিক্ষার্থীদের হাতে এ নতুন পোশাক তুলে দেন। শার্শা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের এ নতুন পোশাক দেয়া হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, স্কুলে স্কুলে মিড-ডে মিল ও ড্রেস বিতরণ করা হচ্ছে। আমি হৃদয়ের তাড়না থেকেই শিক্ষার্থীদের জন্য এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। শিক্ষা উপকরণ ও শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে অনুরোধ করেছি। তারা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। সবার সহযোগিতায় শিক্ষায় পরিবর্তন ঘটবে।

তিনি আরও বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে স্বপ্ন দেখাতে হবে। তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। স্কুলে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। অর্থের অভাবে কারো পড়ালেখা যেন বন্ধ না হয়। এ জন্য সব শ্রেণি-পেশার মানুষদের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে।

বসতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন জানান, অর্থের অভাবে গরীব পরিবারের শিক্ষার্থীরা স্কুলড্রেস পরে আসতে পারে না। জেলা প্রশাসকের আন্তরিকতায় দরিদ্র পরিবারের ছেলে মেয়েরা নতুন স্কুলড্রেস পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হবে। স্কুলে উপস্থিতিও বাড়বে।

উপজেলার বসতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ইয়াসিন শেখ জানায়, এক বছর আগে আমার স্কুল ড্রেস ছিড়ে গেছে। আব্বা রাজমিস্ত্রির কাজ করে। নতুন ড্রেস পেয়ে আমার খুব ভালো লাগছে। প্রতিদিন নতুন ড্রেস পরে স্কুলে যাবো।

শার্শার মাটিপুকুরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সুরাইয়া আক্তার তন্বী বলে, নতুন ড্রেস পেয়ে আমি খুব খুশি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) পারভেজ হাসান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুস সালাম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার অধিকারী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান প্রমুখ।
১৮ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে