এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও মতলব উত্তরের বাজারগুলোয় ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে। বেড়েছে বেচাকেনাও। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ সোমবার সকালে ওই দুই উপজেলার কয়েকটি মাছবাজারে গিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
আজ সকাল ৮টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত মতলব দক্ষিণের মতলব পৌর বাজার, নারায়ণপুর, মুন্সিরহাট ও বরদিয়া আড়ং বাজার এবং মতলব উত্তরের এনায়েতনগর (সাহেববাজার), আমিরাবাদ ও সুজাতপুর বাজারে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় ইলিশের আমদানি বেড়েছে। মাঝারি আকারের ইলিশের পরিমাণ বেশি। সব আকারের ইলিশের দামই সাত থেকে আট দিন আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। ক্রেতারাও কিছু ইলিশ কিনছেন। এতে বিক্রেতারাও খুশি।
মতলব দক্ষিণের মতলব পৌর বাজারের মাছ বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাস ও মতলব উত্তরের আমিরাবাদ বাজারের মাছ বিক্রেতা প্রাণকৃষ্ণ দাস জানান, গত দুই দিন ধরে বাজারে ইলিশের জোগান আগের চেয়ে ভালো। এখন প্রতিদিন গড়ে একেকটি বাজারে ইলিশ ওঠে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ মণ করে। গড়ে প্রতিদিন বিক্রি হয় সাড়ে ৩ থেকে ৪ মণ করে। বেচাবিক্রির এ পরিমাণ গত সপ্তাহের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। এতে ভালো লাগছে।
ক্রেতা-বিক্রেতারা বলছেন, গত দুই দিন ধরে বাজারে এক কেজি ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকায়। গত সপ্তাহে এগুলোর কেজিপ্রতি দাম ছিল ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকায়। এগুলো গত সপ্তাহে কেজি প্রতি বিক্রি হতো ২ হাজার থেকে ২ হাজার ১০০ টাকায়। ৫০০ গ্রাম ওজনের প্রতি কেজি ইলিশ এখন বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ টাকায়। কয়েক দিন আগে এগুলো বিক্রি হতো ১ হাজার ৬০০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। তবে ইলিশের দাম নির্ধারিত থাকছে না। প্রায়ই দাম ওঠানামা করে।
মতলব উত্তরের ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস সরকার বলেন, দাম কিছুটা কমার খবর পেয়ে আজ সকালে এনায়েতনগর বাজারে যান। ৩ হাজার টাকায় ৫০০ গ্রাম ওজনের ২ কেজি ইলিশ কিনেছেন। দাম চড়া থাকায় এত দিন ইলিশ কিনতে সাহস পাননি। এখন দাম কিছু কমায় সাহস করে ২ কেজি কিনলেন। কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছেন এতে। আরও কম দামে ইলিশ কিনার আশায় আছেন। তবে ইলিশ এখনো গরিব ও নিম্ন আয়ের ক্রেতাদের সাধ্যের বাইরে। তাঁদের পাতে এখনো জুটছে না ইলিশ।
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস বলেন, কয়েক দিন পর মেঘনায় আরও বেশি করে ইলিশ ধরা পড়বে। তখন দাম আরও কমবে। মতলব উত্তরের ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি ও মতলব দক্ষিণের ইউএনও আমজাদ হোসেন বলেন, ইলিশের দাম এখনো প্রশাসন থেকে নির্ধারণ করা হয়নি। তবে দাম স্বাভাবিক রাখতে তাঁদের প্রশাসন বাজারে নজরদারি রাখছে।