যশোর : যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নির্বাসখোলা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে নিজের ছেলের পায়ে গুলি করার অভিযোগ উঠেছে। ছেলের নাম সোহাগ (২২)। তবে সোহাগ প্রথমে গুলির কথা স্বীকার করলেও এখন অস্বীকার করছেন।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর স্বজনরা সোহাগকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে আনেন। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে ‘সোহাগ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হাসপাতালে ভর্তির পর গুলিবিদ্ধ সোহাগ জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে তার বাবার সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা নজরুল ইসলাম লাইসেন্স করা শর্টগান দিয়ে তার পায়ের গোড়ালিতে এক রাউন্ড গুলি করেন। পরে অবশ্য সোহাগ নিজের বক্তব্য পাল্টে ফেলে বলেন, ‘পড়ে গিয়ে আঘাত লাগায়’ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. আব্দুর রশিদ জানান, সোহাগের পায়ে গুলি করা হয়েছে। হাসপাতাল রেজিস্ট্রারেও সেভাবেই লেখা হয়েছে। তবে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড চিকিৎসক প্রিয়াংকা জানান, সোহাগ আশঙ্কামুক্ত সে কথা বলা যাবে না। তার পায়ের গোড়ালিতে গুলি করা হয়েছে।
ঝিকরগাছা থানার ওসি খবির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নজরুল ইসলাম নির্বাসখোলা ইউনিয়নের সাদীপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান। তার ছেলে সোহাগ দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর তিন মাস আগে দেশে ফেরেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চেয়ারম্যান নজরুলের দুই স্ত্রী। এর মধ্যে বড় স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগমের ছেলে সোহাগ। পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে নজরুল ইসলামের সঙ্গে সোহাগের মনোমানিল্য চলে আসছিল।
এদিকে, নজরুল ইসলামের ছোট স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৪২) দাবি করেন, অসাবধানতাবসত তার স্বামীর লাইসেন্সকৃত শর্টগান থেকে গুলি বের হলে সেটি সোহাগের পায়ে বিদ্ধ হয়। এটা ইচ্ছাকৃত নয়।
১১ জুন, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম