যশোর থেকে : ২ সপ্তাহ যাবৎ নিখোঁজ কেশবপুর উপজেলার গৌরীঘোনায় প্রদীপ কুমার মল্লিক (৪৭) নামে এক পুরোহিতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।। তিনি খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার কাঁঠালতলা স্বামী ভাস্কর আনন্দ আশ্রম মন্দিরের সেবায়েত ছিলেন।
এলাকাবাসি ও থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের বাসুদেব মল্লিকের ছেলে প্রদীব মল্লিক (৪৭) গত ৪ জুন বিকেলে বাড়ি থেকে ঔষধ কেনার জন্য বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে তার সন্ধান না পাওয়া কেশবপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রি করে। যার নং- ২৪৮, তারিখ ০৭/০৬/২০১৬।
পরে বৃহস্পতিবার রাতে প্রদীব মল্লিক নিজেই বাড়িতে ফিরে আসে এবং ঐ রাতেই সে বাড়ির পাশে গাছের সাথে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সংখ্যালঘুদের দাবি, তাকে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক হত্যার পর লাশ গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
কেশবপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদুর রহমান জানান, প্রদীপের শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রদীপের স্ত্রী শিখারানি মল্লিক জানান, গত ৪ঠা জুন বিকালে তার স্বামী বাড়ি থেকে ওষুধ কেনার জন্য গৌরীঘোনা বাজারে যান। এর পর থেকে তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) বিল্লাল হোসেন জানান, ভোরে প্রদীপের মা তার ঘরে ছেলের শার্ট, টর্চলাইট ও মোবাইল ফোন দেখতে পান। তিনি ভেবেছিলেন ছেলে ফিরে এসেছে। কিন্তু কিছু সময় পর মা জানতে পারেন, বাড়ির কিছুটা দূরে একটি আমগাছে প্রদীপের লাশ ঝুলছে। প্রদীপের শরীরের আঘাতের কোনো চিহ্ন না থাকায় ধরে নেয়া হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
বিল্লাল হোসেন জানান, প্রদীপ মল্লিক কীর্তনিয়া ছিলেন। তবে স্থানীয় সংখ্যালঘুদের দাবি প্রদীপ মল্লিককে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা লাশ আমগাছে ঝুলিয়ে রেখে গেছে। তবে পুরোহিত সেবক-পাদরিদের যেভাবে মারা হচ্ছে তার সঙ্গে এই ঘটনার কোনো মিল নেই।
১৯ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস