যশোর : ছেলেদের দ্বন্দ্বে কবরে গিয়েও শান্তি হলো না বাবর আলী মোল্যার। ছেলের দায়ের করা মামলায় মৃত্যুর তিন মাস পর তার মৃতদেহ কবর থেকে তুলে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
বাবর আলীকে হত্যার অভিযোগে তার বড় ছেলে অন্য সন্তানদের নামে মামলা করায় আদালতের নির্দেশে লাশ উত্তোলন করে পুলিশ। রোববার বিকালে যশোরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার-উজ-জামানের উপস্থিতিতে এ লাশ উত্তোলন করা হয়।
বাবর আলী মোল্যা যশোরের শার্শার গোগা বিলপাড়া গ্রামের মৃত সাঈদ আলী মোল্যার ছেলে। নিহতের ছেলে রুহুল আমিন জানান, তিনিসহ তার অন্য ভাই কাবিল মোল্যা, মজনু ছামাদ, আসাদ, শাহাজাত সিঙ্গাপুরে থাকার সময় প্রায় ৭০ লাখ টাকা বড় ভাই শওকত হোসেন মোল্যার কাছে পাঠান।
এদিকে তাদের বাবা শ্বাসকষ্টজনিত কারণে যশোর একতা হাসপাতালে ভর্তি হন। খবর পেয়ে তারা বিদেশ থেকে দেশে আসেন।
এক পর্যায়ে তারা বড় ভাইয়ের কাছে টাকা চাইলে গোলযোগ সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে নানাভাবে বড় ভাই ও ভাবী মিলে রুহুল আমিন ও অন্যান্য ভাইয়ের নামে আদালতে পাঁচটি মামলা করেন। প্রতিটি মামলায় জামিন নিয়ে বাড়ি আসার পর আবারও তাদের শায়েস্তা করতে নানা ফন্দি আটেন বড় ভাই শওকত হোসেন।
ছেলেদের মধ্যে এ দ্বন্দ্ব চলার অবস্থায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি বাবর আলী মোল্যা মারা যান। গোগা ইউনিয়নের স্থানীয় চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ ও যশোর একতা হাসপাতালের ডাক্তার সেই মর্মে মৃত্যু সনদও দেন।
এর পর বড় ভাই শওকত হোসেন আবারও অন্য ভাইদের শায়েস্তা করতে ওই চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয়েছে এই মর্মে মৃত্যু সনদ নিয়ে গত ২ মার্চ আদালতে তার ছয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে বাবাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে যশোর আদালতে মামলা দায়ের করেন।
এই মামলায় আদালত গত ২৫ মে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে রোববার বিকালে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শরীফ হাবিবুর রহমান জানান, আদালতের নির্দেশে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে মৃতদেহ উত্তোলন করা হয়। -যুগান্তর
২১ জুন ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এসবি/এসএস