মোঃ আমিনুল ইসলাম, ঝালকাঠি প্রতিনিধি: অবশেষে নলছিটি উপজেলার পীর মোয়াজ্জেম হোসেন নামের দীর্ঘ দিন পড়ে থাকা বেহাল সড়কটিতে ইজিবাইক চালকরা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজ শুরু করছেন। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শুরু হওয়া ওই সংস্কার কাজে অর্ধ শতাধিক ইজিবাইক চালক নিজ উদ্যোগে কাজে অংশ নিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার পীর মোয়াজ্জেম হোসেন সড়ক নামে পরিচিত হদুয়া-নলছিটি সড়কটি খানাখন্দে ভরে গেছে। ফলে সড়কটি দিয়ে চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। ৮ কিলোমিটার সড়কের ৮০ থেকে ১০০টি স্থানে ভেঙে খোয়া সরে গিয়ে মাটি বেরিয়ে আসেছে। সড়কে ২৫ থেকে ৩০টি বড় গর্তেও সৃষ্টি হয়েছে।
কয়েকটি স্থানে যান চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বাধ্য হয়ে সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইক চালকরা নিজ উদোগে দশগ্রুপে ভাগ হয়ে রাস্তা সংস্কার কাজে নেমে পড়েছেন। বড় গর্তগুলোতে অন্যত্র থেকে মাটি ও সুড়কি এনে ভরাট করছেন চালকরা। আর এ কর্মযঞ্জ সন্ধ্যা থেকে শুরু হয়ে একটানা গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বলে চালকরা জানান।
এলাকার বাসিন্দারা বলেন, সড়কটি নলছিটি পৌর শহরের বাইপাশ-বৈচন্ডী-আখরপাড়া হয়ে ভারানী-হদুয়া-মোল্লারহাট বন্দরে সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছে। উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলবাসীর শহরে প্রবেশের একমাত্র সড়ক হওয়ায় সড়কটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। ফলে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, লরি, ইঞ্জিনচালিত ট্রলি, ট্রাক্টর, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশা, ঠেলাগাড়ি, ভটভটি, রিকশাসহ শতাধিক যানবাহন চলাচল করে।
এ সড়কের পুরো এলাকায় নানা বিড়ম্বনায় পড়ে আসছিল যানবাহনচালক ও যাত্রীরা। ইজিবাইকের চালক ও স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার কাজে অংশ নেয়া চালক শহিদ মৃধা বলেন, এ সড়ক দিয়ে চলাচলের সময় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ভাঙা সড়ক দিয়ে ইজিবাইক চালাতে গিয়ে দু-এক দিন পরপরই তা বিকল হচ্ছে। বাধ্য হয়ে আজ নিজেদের উদ্যোগে সংস্কার কাজে নেমেছি।
সওজ সূত্রে জানা যায়, ওই সড়কটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ কিলোমিটার। এটি সর্বশেষ ২০১৩ সালে এখানে কার্পেটিং (সংস্কার) করা হয়। বর্তমানে সড়কটি যেভাবে ভেঙে গেছে এবং খানাখন্দ তৈরি হয়েছে, তাতে সংস্কার নয়, নতুন করে সড়কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থও ব্যয় করতে হবে।
বৈচন্ডী এলাকার বাসিন্দা ও পীর মোয়াজ্জেম হোসেন সড়ক ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি হুমায়ন কবির বলেন, এক বছর ধরে সড়কটি মেরামতের জন্য এলাকাবাসী দাবী জানিয়ে আসছে। এর আগেও সড়কের চলাচলকৃত ইজিবাইক চালকদের পক্ষ থেকে বড় গর্তগুলোতে মাটি ভরাট করা হয়। কিন্তু তা বেশিদিন টেকেনি। তাই পুনরায় আমরা আবার সংস্কার কাজে নেমেছি।
খানাখন্দের কারণে সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন আগেও একটি টমটম উল্টে বেশ কয়েকজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। অনেক সময় যানবাহন বিকল হয়ে সড়কে পড়ে থাকায় যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
২৪ জানুয়ারি ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/এইচএস/কেএস