ঝালকাঠি : এ কি কাণ্ড, ক্লাস রুমে আটক করে ২০ ছাত্রের চুল কেটে দিলেন এক শিক্ষক। ঘটনাটি ঘটেছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বাগড়ি গ্রামে। ওই গ্রামের নূরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা ও হেফজ্জখানার ২য় ও ৩য় শ্রেণির ২০ শিশু শিক্ষার্থীকে ক্লাস রুমে আটক রেখে মাথার চুল কেটে দেন শিক্ষক মো. রবিউল ইসলাম।
এ ঘটনা ঘটে মঙ্গলবার দুপুরে। এ নিয়ে অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, ২০ এপ্রিল বুধবার পরীক্ষা থাকায় কয়েকদিন ধরে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক রবিউল ইসলাম ২য় ও ৩য় শ্রেণির ছেলেদের মাথার চুল কেটে আসতে বলেন। কিন্তু শিশু শিক্ষার্থীদের মাথার চুল ছোট থাকায় না কেটে মাদ্রাসায় আসে।
পরে শিক্ষক রবিউল ইসলাম ক্ষুব্ধ হয়ে ২০ শিক্ষার্থীকে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে টুপি খুলে নিজ হাতে কাচি দিয়ে মাথার চুল কেটে দেন। শিক্ষার্থীরা বাড়িতে গিয়ে অভিভাবকদের জানালে বিষয়টি জানতে চান অভিভাবকরা।
এ ঘটনার পর অভিভাবকদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হলে শিক্ষক রবিউল ইসলাম আত্মগোপনে চলে যান।
শিক্ষক রবিউল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ছাত্রদের মাথার চুল বড় হয়ে যাওয়ায় অনেক দিন ধরে চুল কেটে আসতে বলেছিলাম। তারা চুল কেটে না আসায় প্রত্যেকের মাথার কিছু চুল কেটে দেয়া হয়, যাতে তারা বাড়িতে গিয়ে চুল কেটে আসে।
এ ব্যাপারে নূরানী কিন্ডারগার্টেন মাদ্রাসা ও হেফজ্জখানার প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদিন বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি ওই শিক্ষককে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
১৯ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম