ঝিনাইদহ থেকে : ঝিনাইদহে অপহৃত আনিছুর রহমান নামের এনজিও কর্মীকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৬। আনিছুর রহমান মহেশপুর উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের নূর মোহাম্মদের ছেলে ও এনজিও সংস্থা আশার শৈলকূপা উপজেরার ফুলহরি শাখার ব্যবস্থাপক। এ সময় আটক করা হয় নারীসহ দুই অপহরণকারীকে।
আটককৃতরা হলো- উদয়রপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন কবীর রিপন (৩০) ও তার স্ত্রী মারিয়া মেরি মোহনা (২২)। শনিবার ভোর রাতে ঝিনাইদহ শহরের নতুন কোর্টপাড়ার একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানান, শুক্রবার সকালে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণ করা হয় আশা এনজিও’র ম্যানেজার আনিছুর রহমানকে। পরে তাকে শহরের কোর্টপাড়ার বাসায় আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। আনিছুরের স্বজনেরা বিষয়টি র্যাবকে জানালে অভিযান চালায় র্যাব।
রাত ১০ টার দিকে আনিছুরকে উদ্ধার করা হয় এবং শনিবার ভোররাতে শহরের কোর্টপাড়ার হুমায়ুন কবির রিপন ও তার স্ত্রী মারিয়া মেরি মোহনাকে আটক করা হয়। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কাজ করে আসছিল বলে জানিয়েছেন র্যাব কমান্ডার। এই চক্রের সঙ্গে উদয়পুর গ্রামের রিয়াজের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, নতুন কোর্টপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে সাগর, শামিম ও পোড়াহাটি গ্রামের খলিলুর রহমান জড়িত বলে আটক সাথী ও তার স্বামী রিপন র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানায়, মোবাইলে মারিয়া মেরি মোহনার সঙ্গে আনিছুরের পরিচয় হয়। শুক্রবার সেই সূত্র ধরে এনজিও কর্মী আনিছকে ঝিনাইদহ শহরে আসতে বলে। একটি লাল মটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে আসা মাত্রই চক্রটি আনিছকে কব্জা করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এর মধ্যে মুক্তিপণের ৬০ হাজার টাকা দেয় অপহরণকারীদের।
বাকি টাকা জোগাড় করতে না পেরে আনিছের ভাই র্যাবের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে র্যাব শনিবার ভোরে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য আটক করে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হলেও এই চক্রের বাকি চারজনকে এখনো আটক করা যায়নি। এমজমিন
১১ সেপ্টেম্বর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি