মঙ্গলবার, ০৮ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:৪৪:০৮

৬৫ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকে পেটানোর ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়

৬৫ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাকে পেটানোর ভিডিও নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা মুক্তার হোসেন মৃধার ওপর সন্ত্রাসী হামলার সিসি টিভি ফুটেজ নিয়ে সারাদেশে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ফেসবুকে পোস্ট করা ওই সিসি টিভি ভিডিও ফুটেজ নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। শত শত মন্তব্য আর শেয়ারে ছেয়ে গেছে গোটা ফেসবুক পেইজ।

মুক্তার হোসেন মৃধার বড় ছেলে সুমন মৃধা সোমবার তার ফেসবুক পেজে নতুন করে ৫৩ সেকেন্ডের ওই হামলার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে কয়েকজন ব্যক্তি রড, হাতুড়ি নিয়ে এক বৃদ্ধাকে বেধম পেটাচ্ছে। তার ওই পোস্টে নিচে প্রায় আটশ মানুষ কমেন্ট করেছেন।

সাইদ ইয়াসেফ আকবর নামের এক ব্যক্তি লিখেছেন, ‘বাবার বয়সী একজন মুরুব্বির গায়ে কি কেউ হাত তুলতে পারে?’

মাহফুজ রহমান লিখেছেন, ‘এটা আমাদের জাতীয় লজ্জা। আমাদের ক্ষমা করবেন, আমরা লজ্জিত কারণ আমরা এই দেশের নগরিক’

তাসমিয়া মাহবুব শাওন নামের একজন লিখেছেন, ‘প্রতিটা মার আমার বাবার গায়ে লাগছে, যারা দেশ এনে দিয়েছে তারাই আজ নরপশুদের হাতে প্রতিদিন লাঞ্ছিত হচ্ছেন। …. জবাই দিতে পারলে শান্তি লাগতো।’

রাজু মৃধা লিখেছেন, ‘ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং শৈলকুপা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এই হামলার মাস্টার মাইন্ড। তাই বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুরোধ, এসব নেতাদের পদত্যাগ এবং হামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িদের যেন দল থেকে বহিঃস্কার ও উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়। আপনি ব্যতীত আমরা কারও কাছ থেকে ন্যায়বিচার আশা করছিনা।’

গত ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটের সামনে জাকির মেডিক্যাল ফার্মেসির সামনে বসে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সদস্য, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও আবাইপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন মৃধা। এ সময় হঠাৎ করে একদল সন্ত্রাসী লোহার রড, হাতুড়ি, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা করে। পার্শ্ববতী দোকানে বসা তারই ছেলে ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ এগিয়ে এলে তাকেও বেধড়ক মারপিট করা হয়। হামলার ঘটনাটি জাকির মেডিক্যাল ফার্মেসির সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।

এ ঘটনায় মুক্তার হোসেন মৃধার বড় ছেলে সুমন মৃধা বাদী হয়ে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগের সভাপতি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর আসামিদের বিচারের দাবি করেন উপজেলাবাসী।

মামলার বাদী সুমন মৃধা বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ‘আসামিরা বর্তমানে আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে ও আমাদের বিভিন্ন হুমকি ধামকি দিচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘উপজেলা চেয়ারম্যানের ক্যাডার বাহিনী এই হামলার সঙ্গে জড়িত।’

সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়ে আহত মুক্তার হোসেন মৃধা ও তার ছেলে গোলাম মোর্শেদ বর্তমানে ঢাকা বিডিএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শৈলকুপা থানার এসআই ইকবাল হোসেনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। -বাংলা ট্রিবিউন।
০৮ নভেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে