ঝিনাইদহ থেকে : ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে প্রবাসী যুবক বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন এলাকাবাসীর মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে অভি'যানে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ভূপালী সরকার। মালয়েশিয়া ফেরত ওই যুবকের নাম মিজানুর রহমান মিজান।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও তার সঙ্গে থাকা পুলিশের দুই সদস্যকে অক'থ্য ভাষায় গা'লিগা'লাজ ও মা'রধ'র করতে উদ্য'ত হন প্রবাসী মিজানুর রহমান ও তার দুই ভাই। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চাঁচড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে থানা থেকে অতি'রিক্ত পুলিশ আসার আগেই ঘট'নাস্থ'ল থেকে পা'লিয়ে যান ওই গ্রামের মনতেজ শেখের ছেলে প্রবাসী মিজানুর রহমান মিজান ও তার দুই ভাই জাহিদ ওরফে কালু ও সাইদ হোসেন।
গ্রামবাসীরা জানায়, ৪-৫ দিন আগে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসেন মিজান। তিনি আসার পর থেকে হোম কোয়ারেন্টিনে না থেকে বাইরে ঘোরাঘুরি করতে থাকেন। এলাকার লোকজন তাকে বোঝালেও তিনি মানছেন না। অভি'যানের সঙ্গে থাকা পুলিশের এএসআই লিটন আলী বলেন, আমরা দুইজন এ্যাসিল্যান্ড স্যারের সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতে যাই। এরপর বিদেশফেরত ওই ব্যক্তিসহ তার দুই ভাই আমাদেরকে মা'রধ'র করার চেষ্টা করে। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরি'স্থিতি শান্ত করে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সরকারী কমিশনার (ভূমি) ভূপালী সরকার বলেন, মিজানুর রহমান বাড়ি আসার পর থেকে বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। এলাকাবাসীর কাছ থেকে অ'ভিযো'গ পেয়ে তিনি শুক্রবার ওই গ্রামে যাই। সেখানে গিয়ে আমি মিজানুর রহমানকে বলি, আপনি বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন কেন? তিনি তখন মসজিদে নামাজ পড়ার কথা বলেন। আমি তাকে বাড়িতে নামাজ পড়ার কথা বললে, তিনি সেটা মানে'ননি। তখন তার দাবি অনুযায়ী সরকারি আদেশ পালনে দেশে ফেরার কাগজ দেখানোর অনুরো'ধ করি। তিনি কাগজ না দেখিয়ে অক'থ্য ভাষা ব্যবহার করেন। আমাদেরকে এক প্রকার লা'ঞ্ছিত করে। এরপর কাগজপত্র না দেখিয়ে খলিলুর রহমানকে তথ্যদাতা ভেবে তাকে আমাদের সামনে মা'রতে উদ্য'ত হয় এবং পুলিশ ও আমার উপর চ'ড়াও হয়।
ম্যাজিস্ট্রেট আরও জানান, ''এ সময় ইউএনও স্যার ও কালীগঞ্জ থানার ওসিকে বিষয়টি জানালে থানা থেকে অতি'রিক্ত ফো'র্স আসার আগেই আসামিরা পা'লিয়ে যায়। মোবাইল কোর্টে বিচার না হওয়ায় নিয়মিত মামলা করার জন্য নি'র্দে'শ প্রদান করা হয়।'' কালীগঞ্জ থানার ওসি মুহা. মাহাফুজুর রহমান মিয়া বলেন, ''বর্তমানে আসামিরা পলা'তক আছে। তাদের গ্রে'ফতারের চেষ্টা করা চলছে।''