এক্সক্লুসিভ ডেস্ক : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের সেই আলোচিত ৬ শিং আওলা গরুর এখন ৭ শিং। নতুন করে গজিয়েছে আরেকটি শিং। এই বিস্ময়কর গরুর মালিকের বাড়ি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কুশান ইউনিয়নের বহরমপুর গ্রামে। গরু দেখতে দুর দুরন্ত থেকে দর্শনার্থীরা ছুটে যাচ্ছেন ওই বাড়িতে।
জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে গরু, ছাগল পালন করেন উপজেলার বহরমপুর গ্রামের মুজা বিশ্বের ছেলে মোশাররফ হোসেন। গত ২০২১ সালের দিকে তিনি বাজার থেকে একটা গাভী গরু কিনেন। সেই গরুটির গর্ভে ৬/৭ মাস পরে জন্ম হয় গরুটি। প্রথম কোন কিছুই বোঝা যায়নি। এরপর গরুর বয়স ২ বছর পড়ার পর স্বাভাবিক দুইটি সিংয়ের মাঝ থেকে আরো একটা সিং দেখা যায়। এরপর বছর পার হতে না হতেই আরো তিনটি সিং দেখা যেতে থাকে।
তারপর থেকে বেশ কিছুদিন আর কোন সিং দেখা যায়নি। সে সময় ওই গরুর মাথায় মোট ৬ টা সিং দেখা যায়। খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক দুর দুরন্ত থেকে দর্শনার্থীরা গরুটি দেখতে আসেন মোশাররফ হোসেনের বাড়িতে।
গরুর মালিক মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা চাষি গৃহস্থ্য মানুষ। আগে থেকেই আমাদের বাড়িতে গরু ছাগল পালন করা হত। সে সুবাদে লেখা পড়ার পাশাপাশি আমারও গরু ছাগল পালন করতে ভাল লাগতো।
তিনি বলেন, গত ৫ বছর আগে গরু পালনের জন্য বাজার থেকে গাভীটি কিনে আনা হয়। তাঁর গর্ভে জন্ম হয় গরুটি। সে ছোট বেলায় গোয়ালের সব গরুর মত আচারন করত,খাওয়া দাওয়া করত। তবে পাথক্য দেখা যায় ২ বছর বয়স থেকে। যে সময় স্বাভাবিক গরুর তুলনায় অস্বাভাবিক সিং দেখা যেতে লাগলো। সে সময় অনেক মানুষ অনেক কথা বলেন আমার। তারপরও তাঁর মায়ায় পড়ে আজও লালন পালন করে আসছি। এখন তাঁর বয়স ৪ পার হয়ে ৫ বছরে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে ৬ সিংয়ের মাঝ দিয়ে আরো একটা ছোট সিং। ৪ বছরে গজিয়েছে মোট ৭টা শিং।
তিনি আরো বলেন, খবরটি মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে গরুটি কিনতে অনেকে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তবে সে সময় গরুটি ছোট থাকায় বিক্রি করতে চাইনি। এখন গরুটি বিক্রি করতে চাই। তবে কোন মাংশ বিক্রেতার কাছে নয়। কোন বিশেষ ক্রেতা পেলে গরুটি বিক্রি করার কথা ভাবছেন তিনি। এ বিষয় কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এমন একটা গরু আছে শুনেছি। দেখি নাই।হরমোন জনিত কারণে জন্মগত ভাবে হতে পারে। এটা একটা বিশেষ গরু।