‘দোকানদারি করে কি ছেলেরে বড় কেলাসে পড়ানো যায়’
ঝিনাইদহ : ‘আমার আছে ছোট্ট টং দোকান। ইমনের বাপে মরার পর এই দোকানেই আমি মুদি ব্যবসা করি। কোনো মতো মা-ছেলের সংসার খেয়ে না খেয়ে চলে যায়। দোকানদারি করে কি আর ছেলেরে বড় কেলাসে পড়ানো যায়?’ সমাজের মানুষের কাছে এমনই প্রশ্ন করেছেন এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া বায়োজিদ হাসান ইমনের মা মনজুয়ারা।
ঈশ্বরবা দাখিল মাদরাসার সুপার মোহাম্মদ জামাত আলী লস্কর জানান, বায়োজিদ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার চাচড়া গ্রামের মৃত বাদশা মিয়ার ছেলে। ছেলেটা খুবই ট্যালেন্ট। অভাবের কারণে মাদরাসা থেকে তার কোনো খরচ নেয়া হতো না। একই মাদরাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৮১ পেয়েছিল। এসএসসিতে পেয়েছে জিপিএ-৫। সামজের কেউ যদি এগিয়ে না আসেন তবে ওর উচ্চশিক্ষাটা স্বপ্নই রয়ে যাবে।
বায়োজিদ হাসান ইমন জানায়, সংসারের আয়ের একমাত্র উৎস আমার মা। ঘরের সঙ্গে দোকানে মুদি ব্যবসা করে চলে সংসার। আমার ভাল ফলাফল এখন হতাশার বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে সংসারে। আমার বয়স যখন ১১ মাস তখন বাবা আত্মহত্যা করেন। অভাবের সংসারে ক্ষোভ আর কষ্টে তিনি আত্মহত্যা করেন বলে শুনেছি।
মা মনজুয়ারা আরও বলেন, দেশে এত্ত মানুষ, কেউ কি এগিয়ে আসবে না? -জাগোনিউজ
১৫ মে, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএম