ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ শহরের হামদো সোনালীপাড়ায় মেসে একদল জঙ্গি আস্তানা গেড়ে বসেছিল। এদের মধ্যে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরায় হামলায় অংশ নেয়া নিহত নিব্রাস ইসলাস ছাড়া বাকি ৭ জঙ্গি কারা তা অবশ্য জানা যায়নি। শহরের সোনালীপাড়ায় নির্জন স্থানের একটি টিনের ঘর বেছে নেয় জঙ্গিরা। তারা নিজেদের ছাত্র বলে পরিচয় দিত।
স্থানীয় কয়েকজন যুবক জানায়, নিবরাস ইসলামসহ ৩ জন একটি লাল রংয়ের মোটর সাইকেলে চড়ে বেড়াত। একটি ভাঙ্গাচোরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত তারা। ৩ দিন আগে নিবরাসের এখানে ৪ মাস ধরে অবস্থানের কথা ফাঁস হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। ওই মেসে জঙ্গিদের ফেলে যাওয়া বিছানা কাঁথা পড়ে আছে। নিবরাস ছাড়া বাকি ৭ জন কারো সাথে মিশতো না। মেসের পিছন দিয়ে গলি পথে যাতায়াত করতো।
বাড়ির মালিকের স্ত্রী বিলকিস নাহার তাদের নাম ঠিকানা জানেন না বলে জানান। ২৮ জুন ঈদে বাড়ি যাওয়ার কথা বলে তারা চলে যায়। আর ফিরে আসেনি। গতকাল থেকে বিলকিল নাহার মিডিয়ার সাথে আর কথা বলছেন না। যদিও আগের দিন কথা বলেছিলেন। স্থানীয় যুবকরা নিব্রাসের ছবি দেখে বলছে সাইদ ভাই ( নিব্রাস)। সে তার বাড়ি নাটোর বলে জানাতো।
ঝিনাইদহ শহরে অসংখ্য মেস আছে। অভিযোগ রয়েছে এসব মেসের অধিকাংশ পরিচালিত শিবিরের দ্বারা। আর বেশির ভাগ মেসে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা্ থাকে। তাদের নাম পরিচয় কি তার তথ্য রাখেন না মেস গুলোর মালিকেরা। নিবরাসের ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর পুলিশের ধারণা ছাত্রবেশে মেসে জঙ্গিরা থাকতে পারে।
বৃহষ্পতিবার রাতে পুলিশ মেসগুলোতে ব্যাপক তল্লাশী চালায়। তবে সেগুলো ফাঁকা পাওয়া যায়। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি থাকায় মেসগুলো ফাঁকা বলে এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান। ঝিনাইদহ শহর ছাড়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন শেখপাড়া এলাকায় অনেক ছাত্র মেস আছে। সেখানে কারা থাকে তার তথ্য রাখেন না মেস মালিকেরা। পুলিশের এক সুত্র জানায়, নিবরাসের ঝিনাইদহের একটি মেসে থাকার বিষটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।-ইত্তেফাক
১৬ জুলাই,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সবুজ/এসএ