ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: গুলশানে হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় যে ৫ জঙ্গি কিলিং মিশনে অংশ নিয়েছিল তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল নিবরাস ইসলাম। এই নিবরাস ইসলামকে ঝিনাইদহের একটি মেসে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন ঝিনাইদহ শহরের সোনালী পাড়ার দারুস সালাম মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান রোকন।
গুলশান হামলার ৫ দিন আগে অর্থ্যাৎ গত চার মাস সাইদ ছদ্মনামে ঝিনাইদহে ছিলেন জঙ্গি নিবরাস ইসলাম। প্রাচীর দিয়ে ঘেরা একটি সুরক্ষিত মেসে তাকে থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন রোকনুজ্জামান।
রোকনুজ্জামান মেস সংলগ্ন মসজিদে ইমামতি আর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতেন। গুলশানে ২০ জনকে হত্যার পর ঈদের আগের দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঝিনাইদহে অভিযান চালিয়ে রোকনুজ্জামানসহ সন্দেহভাজন আরো ৫ জনকে আটক করে।
মেস মালিক কাওসারের স্ত্রী বিলকিস নাহার জানান, নিবরাস এখানে সাইদ নামে ছিল। মসজিদের ঈমাম রোকনুজ্জামান রোকন নিবরাসসহ মোস্তাফিজ নামে আরো একটি ছেলেকে গত ৪ মাস আগে মেসে তোলে। নিবরাস এখানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির কথা বলে থাকতো।
সোনালী জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাসেম আলী জানান, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হরিদ্রপোতা নাইড়া গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে মো. রোকনুজ্জামান রোকন। তার মায়ের নাম সালেহা খাতুন। কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষা বর্ষের দাওয়া বিভাগের ছাত্র রোকন। গত বছর কোরবানির ঈদের আগে ঝিনাইদহ শহরের সোনালী পাড়ার জামে মসজিদে ইমামতিতে যোগ দেন রোকনুজ্জামান। মসজিদের দ্বিতলায় তার থাকার ব্যবস্থা করা হয়।
সোনালী জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি শরাফত জোয়াদ্দার জানান, মসজিদের ইমাম রোকন, মেস মাালিক সাবেক সেনা সার্জেন্ট কাওসার আলী, তার দুই ছেলে বিনছার ও বেনজির ও রোকনুজ্জামানের সঙ্গে থাকা কিশোর হাফেজ সাব্বিরকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রোকনের ঘরে হাদিস-কোরআন নিয়ে লেখা বিভিন্ন লেখকের বই দেখা গেছে। তবে তিনি কোনো সংগঠন বা দলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না এই কথা বলে মসজিদে সে নিয়োগ পায়।
তবে এ ব্যাপারে জেলার পুলিশ কর্মকর্তারা একেবারেই কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গুলশান হামলায় নিহত ৫ জঙ্গির আগের জীবন-যাপন, চলাফেরাসহ নানা দিক খোঁজ খবরের এক পর্যায়ে ঢাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঝিনাইদহের সোনালীপাড়ার মেসে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জঙ্গি নিবরাস যার সঙ্গে মেসে থাকতো সেই মোস্তাফিজুর রহমান নামের যুবক এখনো নিখোঁজ। জাগো নিউজ
১৬ জুলাই ২০১৬/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস