সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২০, ১১:২৩:১৩

এতদিন যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না তারা পেল ১১ লাখ টাকার পাকা ঘর

এতদিন যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না তারা পেল ১১ লাখ টাকার পাকা ঘর

খাগড়াছড়ি: ছিমছাম গোছানো সারি সারি পাকা ঘর। প্রতিটি ঘরের সামনে বারান্দা। ছোট ফুলের বাগান আর হাঁটার জায়গা। সারি সারি পাকা ঘরের মাঝখানে ফুলের বাগান আর পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থাও চোখে পড়ার মতো।

এমন নান্দনিক ও ফুলের পল্লীতে ঠিকানা হয়েছে খাগড়াছড়ির ৩৩ ভূমিহীন, প্রতিবন্ধী, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের। এতদিন যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না তাদের হাতেই উঠেছে স্বপ্নের বাড়ির চাবি।

বলছিলাম খাগড়াছড়ি পৌর শহরের কুমিল্লা টিলা এলাকার ‘বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্পের’ কথা। জেলা শহরের কুমিল্লা টিলা এলাকায় প্রায় দুই একর জমির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে ৩৪টি পাকা বাড়ি। যার মধ্যে ৩৩টি পাকা বাড়িতে নিজেদের ঠিকানা খুঁজে পেল ৩৩ গৃহহীন পরিবার। অন্য একটি পাকা ঘর রাখা হয়েছে অফিস কক্ষ হিসেবে ব্যবহারের জন্য।

গত বৃহস্পতিবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খাগড়াছড়ি সদরের কুমিল্লা টিলা এলাকায় তৃতীয় নগর পরিচালন ও অবকাঠামোগত উন্নীতকরণ প্রকল্পের অধীনে ‘বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্পের’ উদ্বোধন শেষে সুবিধাভোগী পরিবারের হাতে ঘরের চাবি তুলে দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

এ সময় ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি, খাগড়াছড়ি রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলমসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রায় ৫০১ বর্গফুটের প্রতিটি পাকা ঘরে রয়েছে দুটি শোবার ঘর, একটি রান্ন ঘর, একটি শৌচাগার, একটি ডাইনিং ও একটি ব্যালকনি। প্রত্যেকটি পাকা ঘর নির্মাণে খরচ হয়েছে ১১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নীতকরণ (সেক্টর) প্রকল্পের আওতায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে।

বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্পে স্বপ্নের পাকা বাড়ি পেয়ে উচ্ছ্বসিত সুবিধাভোগীরা বলেন, স্বপ্নেও ভাবিনি সরকার আমাদেরকে এমন সুন্দর বাড়ি করে দেবে। স্বপ্নের বাড়ি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেন তারা।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী দীলিপ কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রতিটি ঘরের সামনে বাগানের জন্য কিছু জায়গা দেয়া হয়েছে। এই প্রকল্পের আদলে খাগড়াছড়ি পৌরসভার শালবন এলাকায় প্রতিবন্ধী, গৃহহীন, ভূমিহীন, হতদরিদ্র, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা, অসহায়, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা ও পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আরও ৮৮টি ঘর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

‘বাংলাদেশের একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে খাগড়াছড়ি পৌর প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম।

তৃতীয় নগর পরিচালনা ও অবকাঠামো উন্নীতকরণ (সেক্টর) প্রকল্পের (ইউজিআইআইপি-থ্রি) অধীনে খাগড়াছড়ি পৌরসভা তিন কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বঙ্গবন্ধু পৌর আবাসন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে