খুলনা থেকে : ২০০৫ সালের ঝালকাঠিতে দুই বিচারক হত্যা মামলায় জামায়াতুল মুজাহেদিন বাংলাদেশ-জেএমবি'র সদস্য আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। রোববার রাত সাড়ে ১০টায় খুলনা কারাগারে এ ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
প্রায় এক যুগ পর এই কারাগারে কোনো ফাঁসি কার্যকর হলো। জেএমবি নেতা আসাদুল ইসলাম ওরফে আরিফের বাড়ি বরগুনা জেলা সদরে। আরিফ ২০০৮ সাল থেকে খুলনা জেলা কারাগারে রয়েছে।
রাত ১১টার দিকে জেল সুপার কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, রাত সাড়ে ১০টায় আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
তিনি জানান, আরিফের স্ত্রী লাশ চেয়ে আবেদন করেছেন। কারাবিধি অনুযায়ী সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে লাশ হস্তান্তর করা হবে।
আরিফের স্ত্রী জানান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলার উদয়পুর গ্রামে আরিফের শ্বশুর বাড়িতে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হবে এবং সেখানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, ঝালকাঠি জেলার সিনিয়র সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যার দায়ে আরিফের ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। জেএমবি সদস্য আরিফ ২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর ওই দুই বিচারকের গাড়িতে বোমা হামলা চালিয়ে তাদের হত্যায় অংশ নেয়।
খুলনা জেলা কারাগারে ২০০৪ সালে কুখ্যাত খুনি এরশাদ শিকদারের ফাঁসি কার্যকরের পর দ্বিতীয় আসামি হিসেবে রোববার রাতে জঙ্গি আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হলো।
১৭ অক্টোবর ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/এসএস/এসবি