নিউজ ডেস্ক : খুলনা নগরীতে উত্ত্যক্তকারীরা বাবাকে মারধর করায় সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শামসুন নাহার চাঁদনী (১২) আত্মহত্যা করেছে।
১৩ অক্টোবর শুক্রবার রাতে হরিণটানা এলাকার নিজ বাড়ি চাঁদনীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। শনিবার চাঁদনীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
নগরীর লবণচরা থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় লবণচরা থানায় চাঁদনীর বাবা রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে বখাটে শুভসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
চাঁদনীর বাবা সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট রবিউল ইসলাম জানান, শুভ নামের একটি ‘বখাটে’ ছেলে চাঁদনীকে উত্ত্যক্ত করত। এই ঘটনা জানার পর গত শনিবার তিনি বিষয়টি শুভর মা-বাবাকে জানান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার শুভ ও শুভর মা তাকে অপমান করেন।
এছাড়া শুভ তাকে মারধর করেন এবং চাঁদনীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেন। বাবাকে অপমান করার সহ্য করতে না পেরে ঘটনার পর রাতে চাঁদনী ঘরের আড়ার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
চাঁদনীর মা ফিরোজা বেগম অভিযোগ করেন, চাঁদনীদের প্রতিবেশী স্যানিটারি মিস্ত্রি শাহ আলমের ছেলে শুভ। সে পাইপ মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করে। শুভ চাঁদনীকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করত। এর আগেও শুভ আরেকটি মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। এ নিয়ে সালিশও হয়েছে। তারপরও শুভ এ কাজ থেকে বিরত থাকেনি।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস