খুলনা থেকে : ‘অনেক কষ্ট নিয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাচ্ছি। দয়া করে আমার ময়না তদন্ত করাবেন না। আমার এই অবস্থার জন্য রিফাত দায়ী। আল্লাহ ওর বিচার এমনভাবে করো, লোকে যেন দেখতে পায়। আমার লাশের দায়ভার সব ওদের।’
ডায়রীর সাদা পাতায় এসব কথা লিখে রেখে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল খুলনায় আযমখান কমার্স কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষের ছাত্রী আফরোজা ইয়াসমিন তানিয়া।
বুধবার রাতে গুরুতর অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সারারাত অচেতন থাকার পর বৃহস্পতিবার সকালে মেয়েটির জ্ঞান ফিরেছে। তবে এখনো পুরোপুরি শংকামুক্ত হয়নি।
খুলনা সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর রোকেয়া ফারুক বলেন, মেয়েটির মা নেই। অসহায় এই মেয়েটির সাথে প্রতারনার বিচার হওয়া উচিৎ। হাসপাতালে অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে দেখেছি। পুলিশকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, ছোটবেলা থেকে এতিম মেয়েটি খালার কাছে মানুষ হয়েছে। বর্তমানে নগরীর আহসান আহমেদ রোডে বঙ্গকলি ছাত্রীনিবাসে থাকে। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধারের সময় তানিয়ার কক্ষ থেকে দুটি চিঠি ও রিফাত নামের এক ছেলের সঙ্গে বেশ কিছু ঘনিষ্ট ছবি পাওয়া গেছে। রিফাত নগরীর ধর্নাঢ্য ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামানের ছেলে।
খুলনা সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনাটি শুনেছি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে খুলনায় স্কুলছাত্রী চাঁদনী আত্মহননের রেশ না কাটতেই আরেক কলেজছাত্রীর আত্মহত্যার চেষ্টা ঝড় তুলছে নগরীতে। গত ১৩ আগস্ট বখাটের উৎপাতে নিজ ঘরে আত্মহত্যা করে নগরীর সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী চাঁদনী।
এমটিনিউজ/এসবি