সোমবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০১:২৬:২৮

স্বামীর অবর্তমানে গৃহশিক্ষকের সঙ্গে পরকীয়া, অতঃপর...

স্বামীর অবর্তমানে গৃহশিক্ষকের সঙ্গে পরকীয়া, অতঃপর...

খুলনা থেকে : দীর্ঘদিন ধরে স্বামীর অবর্তমানে সন্তানের গৃহশিক্ষকের সঙ্গে চলে আসছিল এ প্রেমলীলা। শুক্রবার নারী সেজে গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম সানা প্রেমিকার কাছে আসে। কিন্তু বিধিবাম। স্বামী শাহাবুদ্দিন হাতেনাতে ধরে ফেলে বিষয়টি। পরে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সহায়তায় সালিসি বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা হয়। কিন্তু মীমাংসা না হওয়ায় জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়।

ঘটনাটি খুলনা আড়ংঘাটা দক্ষিণপাড়ার। অপর এক পরকীয়ার কাহিনী। ২০০৬ সালে মানিকতলার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খানের মেয়ে সোনিয়ার সঙ্গে হাফিজুর রহমানের বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস পর হাফিজুর বিদেশে চলে যান। স্বামীর অনুপস্থিতিতে সোনিয়ার চলাফেরা উচ্ছৃঙ্খল হতে থাকে। তিনি বিভিন্ন যুবককের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। দেশে আসার পর বিষয়টি জানতে পারেন স্বামী হাফিজুর রহমান।

এরপর তিনি স্ত্রীকে শোধরানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত তালাক দেন। কিন্তু শিশুসন্তান হাসমি থেকে যায় পিতার সঙ্গে। হাসমিকে তার পিতার কাছ থেকে অপহরণের জন্য বখাটেদের সঙ্গে পাঁচশ’ টাকা ও অনৈতিক কাজের চুক্তি হয় সোনিয়ার। ২০১৬ সালের ৬ই জুন রাত পৌনে ৯টার দিকে হাসমিকে অপহরণ করে তার মায়ের কাছে নিয়ে আসে সন্ত্রাসীরা। এরপর চুক্তি অনুযায়ী সরদারডাঙ্গা বাগানের (বাঁশঝাড়)’র মধ্যে অপহরণকারীরা সোনিয়ার সঙ্গে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়।

এ সময় হাসমি ঘটনা দেখে ফেলায় সোনিয়ার সামনেই হাসমিকে হত্যা করে অপহরণকারীরা। হত্যার পর লাশ গুমের জন্য রাতেই সিমেন্টের বস্তায় ভরে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদারডাঙ্গা বিলের মধ্যে ফেলে দেয়া হয়। এরপর ৯ই জুন সকালে বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সরদারডাঙ্গা বিলের মধ্যে থেকে সিমেন্টের বস্তাবন্দি অবস্থায় হাসমির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় হাসমির পিতা হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে হত্যা ও লাশ গুমের মামলা করেন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত বছরের ২৯শে আগস্ট হাসমি মিয়া হত্যা মামলার রায়ে মাসহ চার আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত। -এমজমিন
এমটিনিউজ/এসএস  

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে