খুলনা থেকে : খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য, সাবেক প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের পরিবারে ঘটে চলেছে একের পর এক দু'র্ঘ'টনা। একমাত্র মেয়ে ও ছোট ছেলেকে হা'রিয়ে বিপ'র্য'স্ত হয়ে পড়েছে পরিবারটি। তবে সবকিছুর পেছনে পারিবারিক কোনো অস'ন্তোষ কাজ করছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
সূত্রানুযায়ী, খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য নারায়ণ চন্দ্র চন্দের ছোট ছেলে খুলনা জেলা পরিষদ সদস্য অভিজিত চন্দ্র চন্দ (৪০) গত বুধবার সকালে হারপিক পানে আ'ত্মহ'ত্যার চেষ্টা চালান। তাকে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় প্রেরণ করেন চিকিৎসকরা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ'ত্যু হয়। পারিবারিক অস'ন্তো'ষের কারণে তিনি হারপিক পান করে আ'ত্মহ'ত্যার পথ বেছে নেন বলে স্থানীয়ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে, ২০১৭ সালে নারায়ণ চন্দ্র চন্দের মেয়ে জয়ন্তী রানী চন্দ ওরফে বেবির অ'স্বা'ভাবিক মৃ'ত্যু হয়। তিনিও হারপিক খেয়েছিলেন বলে জানা যায়। তবে তার মৃ'ত্যুর কারণও জানা যায়নি।
এরপর ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর নগরীর বসুপাড়া এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে স'ন্ত্রা'সীদের গু'লিতে আহ'ত হন মন্ত্রীর জামাতা বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা প্রভাষ কুমার দত্ত। অল্পের জন্য প্রাণে র'ক্ষা পেয়েছিলেন তিনি। এরও প্রায় এক বছর পর ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর সংসদ সদস্যের মেজ ছেলে সত্যজিত চন্দ্র চন্দের কথিত প্রেমিকা তুফনি মন্ডলের গায়ে আ'গুন লেগে মৃ'ত্যু হয়। সব মিলিয়ে তার ছোট ছেলের আ'ত্মহ'ত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ায় খুলনায় নানা ধরনের গু'ঞ্জ'ন শুরু হয়েছে। তবে সরাসরি মুখ খুলছেন না কেউ। সূত্র : জাগো নিউজ