এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খুলনায় বাজারে বাড়ছে শীতকালীন সবজির সরবরাহ। এতে কমতির দিকে রয়েছে দামও। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ বাড়লে সামনে দাম আরও কমবে।
খুলনার সোনাডাঙ্গা কেসিসি পাইকারি কাঁচাবাজার। প্রতিদিন ভোর থেকেই এই বাজার ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাঁকডাকে মুখর হয়ে ওঠে। ভিড় করেন দূর-দূরান্তের ব্যবসায়ী, পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা।
সিটি করপোরেশন পরিচালিত এই বাজারে দেড় শতাধিক আড়তদার রয়েছেন। প্রতিদিন দক্ষিণ ও উত্তরাঞ্চলের অন্তত ২৫ জেলা থেকে ট্রাক ভরে সবজি আসে। একই সঙ্গে খুলনা, বরিশালসহ প্রায় ২০ জেলার পাইকারি ব্যবসায়ীরা এই বাজার থেকে সরবরাহ নিয়ে যান। গড়ে প্রতিদিন এখানে ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার সবজি বেচাকেনা হয়।
খুচরা বাজারের ক্রেতা বাবু শেখ বলেন, ‘এখান থেকে সবজি কিনে নগরীর নতুন বাজারে বিক্রি করি। প্রতিদিন ফজরের নামাজের পর চলে আসি। আট থেকে দশ প্রকারের শাকসবজি নিয়ে যাই।’
সোনাডাঙ্গা পাইকারি বাজারের মিতা বাণিজ্য ভাণ্ডারের আড়তদার রাসেল শেখ জানান, ‘ভোর থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এবং দুপুর ১টা থেকে রাত পর্যন্ত বাজার চলে। শীতকালীন সবজির সরবরাহ বাড়ছে। দামও কমতির দিকে। আমদানি বাড়লে দাম আরও কমবে।’
বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শীত মৌসুমের শুরুতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, টমেটো, লাউসহ অন্যান্য শাকসবজির সরবরাহ বেড়েছে। সপ্তাহ ব্যবধানে দামও কিছুটা কমেছে।
পাইকারিতে প্রকার ও মান অনুযায়ী শাকসবজি বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা। বাজারে প্রতি কেজি শিম ৬৫ টাকা, বেগুন ৩০-৬০ টাকা, টমেটো ৬০-৭০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, বাঁধাকপি ২০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, ও শালগম ৩০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি কেজি পটোল ২০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, শসা ৩০-৬০ টাকা, ধনিয়া পাতা ৪০-৮০ টাকা ও কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।
সবুজ সরদার নামে এক ক্রেতা বলেন, ‘শীতকালীন শাকসবজির দাম এতো দিন বেশ চড়া ছিল। সাধারণ ক্রেতাদের জন্য কিনতে খুব কষ্ট হয়েছে। এখনো দাম খুব বেশি কমেনি। খুচরা বাজারে দাম এখনও বেশি।’