খুলনা: ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে খুলনার উপকূলীয় কয়রায় ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামত কাজ শুরু করেছে সেনাবাহিনী। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার্স কোরের সদস্যরা কয়রার দক্ষিণ বেদকাশির গোলখালি, সদর ইউনিয়নে হরিণখোলা ও উত্তর বেদকাশির রতনাঘেরি কাটকা'টা এলাকায় বাঁধে মাটি, বালু ভরাট কাজ শুরু করে। এতে দু'র্ভোগে পড়া সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। বাঁধ সংস্কারে যুক্ত সেনাবাহিনীর অধিকাংশ সদস্য রোজা রেখেই কাজ করছেন।
জানা যায়, গত ২০ মে ঘূর্ণিঝড়ের আঘা'তে কয়রার জোড়শিং বাজার, গোলখালী, গাজীপাড়া, ঘাটাখালিসহ ১১টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙ্গে বিস্তির্ন ফসলি জমি ও ঘরবাড়ি প্লাবিত হয়। এতে স্থানীয়দের দুর্ভোগ চ'রমে পৌঁছেছে। অ'ভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর বাঁধ সংস্কারের নামে অর্থ লুটপাট হয়। কিন্তু টেকসই বাঁধ নির্মান না হওয়ায় দু'র্ভোগ এলেই ভোগা'ন্তিতে পড়ে এখানকার মানুষ।
খুলনা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ মারাত্ম'ক ক্ষ'তিগ্রস্ত হয়েছে। তবে অর্থ বরাদ্দ না থাকায় এখনই বাঁধে মেরামত কাজ করতে পারছে না পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। এ কারণে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের নির্দেশে কয়রায় তিনটি পয়েন্টে বাঁধ মেরামত কাজ করবে সেনাবাহিনী।
খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, নদীতে জোয়ারের সময় লবন পানি থেকে জমির ফসল রক্ষায় স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁধ সংস্কার কাজ এরই মধ্যে শুরু করেছে স্থানীয় সাধারণ মানুষ। তবে সেনাবাহিনী বাঁধ নির্মান কাজ শুরু করায় মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সেনবাহিনীকে একই সাথে উত্তর বেতকাশির গাজিপাড়া ও মহারাজপুর দশালিয়া এলাকার বাঁধ মেরামতের জন্য বলা হয়েছে। ঘূর্নিঝড়ের আঘা'তে এখানে প্রায় ৩০ ফুট গভীরতার খালের মতো তৈরি হয়েছে।