খুলনা থেকে: খুলনায় মন্ত্রীর অনুস্থানে ১৫ মিনিটে পকেটমারের শিকার ৬ জন। ১৫ মিনিটের ব্যবধানে ছয়জনের পকেট থেকে মানিব্যাগ-টাকা-মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (০২ আগস্ট) সকালে পাইকগাছা উপজেলার কপিলমুনি ইউনিয়ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকালে কপিলমুনি বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী খালিদ হোসেন। এ সময় সেখানে সংসদ সদস্য আখতারুজ্জামান বাবু, কপিলমুনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রতিমন্ত্রী স্থান ত্যাগ করার পর অনেকে তাদের পকেটে হাত দিয়ে অবাক হন। কিছু সময়ের মধ্যে কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি যুগল কিশোর দের পকেট থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা, সাংবাদিক তপন পালের ৫ হাজার, কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান কওসার আলী জোয়ার্দারের ৯ হাজার টাকা খোয়া গেছে।
এ সময় কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সেক্রেটারি আবদুর রাজ্জাক রাজু ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সমীরণ সাধুর মোবাইল ফোন খোয়া যায়। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ সদস্য উপস্থিত থাকলেও পকেটমার সুকৌশলে তার কাজ করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা তাদের প্রতিক্রিয়ায় ঘটনাটিকে ‘ম্যারাথন পকেটমার’ বলে অভিহিত করেছেন। সাংবাদিকদের ধারণ করা একাধিক ছবিতে দেখা যায়, মন্ত্রীর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা খর্বাকৃতি প্রকৃতির মধ্য বয়স্ক মাস্ক পরা ব্যক্তি কপিলমুনি আওয়ামী লীগের সভাপতি যুগল কিশোর দের পাঞ্জাবির পকেটে কৌশলে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ভুক্তভোগী আব্দুর রাজ্জাক রাজু বলেন, প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন তার মোবাইলটি ভিড়ের মাঝে হারিয়ে গেছে। তবে পরবর্তীতে অন্যান্যদের ঘটনা ও ছবি দেখে নিশ্চিত হয়েছেন, তার মোবাইলটিও পকেটমারের খপ্পরে পড়েছে।
পাইকগাছা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সর্বোচ্চ ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে ঘটনাটি ঘটেছে। এত ভিড়ে ঘটনা ঘটায় কেউ বুঝতে পারেনি।
তিনি আরও জানান, মুখে মাস্ক থাকায় তাৎক্ষণিক ওই ব্যক্তিকে চেনা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, অতি পেশাদার পকেটমার। তার বাড়ি ডুমুরিয়ায়। তাকে আটক করতে অভিযান শুরু হয়েছে।