এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : খুলনার বাজারে আবারও ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। এদিকে সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও স্বস্তি ফেরেনি সবজির বাজারে। পাশাপাশি সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে মাছ বাজারেও দেখা দিয়েছে মূল্যবৃদ্ধি।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) নগরীর নতুন বাজার, রূপসা বাজার ও মিস্ত্রিপাড়া বাজার ঘুরে দেখা গেছে, তিন থেকে চার দিনের ব্যবধানে কেজি প্রতি ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহে কেজি প্রতি ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ শুক্রবার বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকায়।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন, দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়া এবং আমদানি নির্ভরতা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
তবে কাঁচামরিচের বাজারে কিছুটা স্বস্তি এসেছে। মানভেদে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৪০ টাকা।
সবজির বাজারেও তেমন স্বস্তি নেই। নতুন মৌসুমি ফুলকপি বাজারে এলেও দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। বেগুনের দাম কিছুটা কমে কেজি প্রতি ১০০ টাকায় নেমেছে, তবে টমেটোর দাম অপরিবর্তিত থেকে কেজি প্রতি ১৫০ টাকাতেই বিক্রি হচ্ছে। বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়।
নতুন বাজারের ক্রেতা মো. রফিকুল ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রতিদিন বাজারে এলে নতুন দাম শুনতে হয়। পেঁয়াজ, টমেটো কোনোটার দামই কমছে না। সংসার চালাতে এখন হিমশিম খেতে হচ্ছে।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারের বিক্রেতা রজব আলী শেখ বলেন, ‘সবজির দাম আমরা বাড়াই না। পাইকারি বাজারেই দাম বেশি আসে। শীতকালীন সবজি পুরোপুরি বাজারে এলে তখন দাম কিছুটা কমবে।’
অন্যদিকে, সমুদ্রে সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার কারণে বাজারে দেশি ও চাষের মাছের দাম বেশি। চাষের রুই, ভেটকি, তেলাপিয়া, পাবদা, কই ও চিংড়ির সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও দাম বেড়েছে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা।
ভেটকি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০০ টাকা। চিংড়ি মাছের দামও বেড়ে কেজি প্রতি ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকায় পৌঁছেছে। রুই বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি দরে।
নতুন বাজারের মাছ বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম বলেন, ইলিশ না থাকায় এখন রুই, ভেটকি আর চিংড়ির চাহিদা বেশি। পাইকারি বাজার থেকেই বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, তাই আমাদেরও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজারের ক্রেতারা বলছেন, টানা মূল্যবৃদ্ধিতে নিত্যপণ্যের বাজার এখন সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। শীতকালীন সবজি ও সামুদ্রিক মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে এই চাপ আরও বাড়বে।