কুষ্টিয়া : বিয়ের পাটিতে বসা হলো না কুষ্টিয়ার কুমারখালীর অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী শম্পা খাতুনের। তার আগেই ডিসির নির্দেশে সরিয়ে ফেলা হলো সেই পাটি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়ে গেল শম্পার বাল্যবিয়ে। আবারো স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবে শম্পা।
জেলা প্রশাসক সৈয়দ বেলাল হোসেনের নির্দেশে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর বিয়ে বন্ধ করা হয়। আজ শুক্রবার শম্পার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
শম্পা কুমারখালীর উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে। শম্পার বিয়ে ঠিক করে তার পরিবার।
কোনো আইডি থেকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফেসবুক পেজে বাল্যবিয়ে হচ্ছে বলে একটি পোস্ট দেয়া হয়। বিষয়টি জেলা প্রশাসকের নজরে আসে। পরে এ বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেন তিনি।
কয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপন বলেন, ইউএনও’র নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে নিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তিনি অঙ্গীকার করে বলেন, আমার ইউনিয়নে ভবিষ্যতে আর বাল্যবিয়ে দিতে দেয়া হবে না।
এ ব্যাপারে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহেলা আক্তার জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কয়া ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউল ইসলাম স্বপনকে বাল্যবিয়ে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।
১২ আগস্ট,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম