আসাদুজ্জামান সাজু, লালমনিরহাট: আমার ছোট মেয়েটির ভাল্ব ফুটো হয়ে গেছে। অপারেশন ছাড়া তাকে সুস্থ্য করা সম্ভব নয়। কিন্তু অপারেশন করতে ৩ লক্ষ টাকা লাগে, সেই টাকা আমি গরীব মানুষ পাবো কই ? বলে কান্না শুরু করলেন দিনমজুর আমিনুর রহমান। আমিনুর রহমান লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মজিবর রহমান মজি’র ছেলে। আমিনুর রহমানের ৬ বছর বয়সী মেয়ে সাদিয়া আফরিনের ভাল্বে ২টি ফুটো হয়ে গেছে। সাদিয়া আফরিন ওই এলাকার পাইকারটারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণীর ছাত্রী।
আমিনুর রহমান বলেন, জন্মের পর থেকে সাদিয়া আফরিন প্রায় সময় অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। প্রথমে স্থানীয় ডাক্তার পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিশেষঞ্জ ডাঃ বিকাশ মজুমদার’র চিকিৎসা গ্রহন করি। গত ১ মাস আগে বিভিন্ন পরীক্ষা করে নিশ্চিত হই সাদিয়া আফরিনের ভাল্বে ২ টি ফুটো হয়েছে। যা কেবল অপারেশনের মাধ্যমে সুস্থ্য করা সম্ভব। তাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট নিয়ে যাওয়ার পরার্মশ দিয়েছেন ডাক্তার বিকাশ মজুমদার। কিন্তু আমি গরীব মানুষ, দিনমজুরী করে জীবন যাপন করি। তার অপারেশন করতে ৩ লক্ষ টাকার দরকার। আমি এতো টাকা পাবো কই ? যদি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিরা এগিয়ে আসেন তাহলে আমি আমার ছোট মেয়েটাকে বাঁচাতে পারবো। এখন শুধু টাকাই পারে সাদিয়ার জীবন বাঁচাতে।
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শিশু বিশেষঞ্জ ডাঃ বিকাশ মজুমদার বলেন, সাদিয়া আফরিনকে বাচাঁতে হলে জরুরী ভিত্তিতে অপারেশ করতে হবে। অপারেশন ছাড়া তাকে বেশি দিন বাঁচানো সম্ভব নয়। ব্যয় বহুল হলেও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এ অপারেশন করে সাদিয়া আফরিনের জীবন বাঁচানো সম্ভব।
সিঙ্গীমারী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এম জি মোস্তফা বলেন, সাদিয়া আফরিন আমার প্রতিবেশীর মেয়ে। সাদিয়ার বাবা একজন দিনমজুর। আমি সাদিয়াকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।
সাদিয়া আফরিনের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে মোবাইল নম্বর-০১৭৬২৯৪২৫৬২, ০১৭৪১৭৯৯০৫৬, ০১৭১৭১৯৯৯৩৬
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস