নিউজ ডেস্ক: ঘটনাটি লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের মতিয়ার রহমানের মেয়ে নাহিদনিগার মেঘনাকে নিয়ে। বয়স তার মাত্র ২২ বছর। আশা ছিল প্রেমিককে বিয়ে করে সুখের সংসার গড়বে কিন্তু তা আর হলোনা। প্রেমিককে বিয়ের কিছুদিন পরেই নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন।
পরিবারের কাছ থেকে জানা গেছে, কলেজ জীবন থেকে দুজনের মধ্যে প্রেম। এভাবে কাটে তিন বছর। এক সময় একই উপজেলার উত্তর পারুলিয়া গ্রামের নুরল ইসলামের ছেলে রেজাউল আলম সুজন বিয়ে করার জন্য পাগল হয়ে উঠে। বিয়েতে রাজি না হলে সে আত্মহত্যা করবে বলে চাপ দেয়।
অতঃপর ২০১৩ সালে জানুয়ারিতে পাঁচ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে রংপুর নোটারি পাবলিক ক্লাবে গিয়ে গোপনে বিয়ে করেন তারা। কিন্তু পরে পরিবারের চাপে প্রথম বিয়েটা ডিভোর্স করিয়ে নতুন করে দুই লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করে আবার বিয়ে পড়ানো হয় তাদের।
বিয়ের পাঁচদিন না যেতেই একটি পালসার মোটরসাইকেল ও ১০ লক্ষ টাকা যৌতুকের জন্য মেঘনার উপর নেমে আসে নির্যাতন। মঙ্গলবার সকালে সুজন ও মেঘনার মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সুজন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ডান পা ভেঙে দেন মেঘনার। পরে তাকে পরিবারের লোকজন মঙ্গলবার বিকেলে উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
মেঘনা বলেন, "মাঝে মাঝে মনে হয় নিজের জীবনটাই শেষ করে দেই। আজ নিজের জীবনের কোনো মায়া নেই। ভালোবেসে বিয়ে করে ভুল করেছি। যৌতুকের কাছে ভালবাসা আজ পরাজিত। "
এদিকে মেঘনার স্বামী রেজাউল আলম সুজন সবকিছু অস্বীকার করে বলেন, "আমি তাকে মারধর করিনি। আগে থেকে তার পা ভাঙা ছিল। "
এ ব্যাপারে স্থানীয় পুলিশকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, 'নির্যাতিত মেঘনার স্বামী সুজনসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। '
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস