লালমনিরহাট থেকে : বড় বড় ছবি ছাপিয়ে প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। প্রতিযোগিতা থাকা ভাল। প্রার্থী হন কিন্তু সিট নষ্ট করবেন না। দলের নেত্রীর হাতে সকলের গোপন তথ্য রয়েছে। সব কিছু যাচাই বাচাই করে তাকেই মনোনায়ন দেয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, যারা অপকর্ম করবেন, লুটপাট করে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়বেন, সন্ত্রাসী কাজে জড়িত রয়েছেন তারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ আমি আপনাদের জানিয়ে দিয়ে গেলাম। যারা ক্ষমতায় থেকে ত্যাগী নেতাদের বঞ্চিত করছেন তাদের জায়গা আওয়ামী লীগে হবে না।
ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, লালমনিরহাটের নেতাদের অনেক কথাই আমাদের জানা হয়ে গেছে, ক্ষমতার দাপট দেখান, ক্ষমতা চিরদিন থাকে না, জনগণের সাথে সর্ম্পক বাড়ান, জনবিচ্ছিন্ন কোন নেতাই আওয়ামী লীগ করার অধিকার রাখে না।
তিনি লালমনিরহাট জেলা পরিষদ অডিটরিয়াম মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুরে এক কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির আন্দোলন এখন মরা গাঙে, যে গাঙে কোনোদিন জোয়ার আসে না। দেশের মানুষ জানে বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ আবারো রক্তগঙ্গায় পরিণত হবে। আন্দোলনের ডাক দিয়ে ঘরে বসে থাকবেন, বিএনপির আন্দোলন মানেই বেগম জিয়ার ভ্যানিটি ব্যাগ।
দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, বিলবোর্ডে ছবি দিলে নেতা হওয়া যায় না। জনগণকে খুশি করেন। যার আচরণে জনগণ খুশি হবে, তিনিই নেতা হবেন। ত্যাগী নেতাকর্মীদের মুল্যায়ণ করেন। অসুস্থ কর্মী ও তাদের পরিবারের খোঁজখবর নেন। বাসায় বসে থেকে সদস্য সংগ্রহ অভিযান করবেন না। ঘরে ঘরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন ও প্রতিশ্রুতির কথা বলে সদস্য সংগ্রহ করুন।
তিনি বলেন, সুযোগ পেলে শীতের অতিথি পাখিরা নৌকায় ভিড়বে, সুযোগের সৎ ব্যবহার করে আবার চলে যাবে। তাই সাবধান থাকুন। চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও সাম্প্রদায়িক অপশক্তির কেউ আওয়ামী লীগের সদস্য হতে পারবে না। ত্যাগী নেতাদের বাদ দেবেন না।
এমটিনিউজ/এসএস