মাগুরা থেকে : তালাক না পেয়ে মাগুরায় গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে সাগর নামে এক স্বামীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় রেশমাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
রেশমা মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার বাবুখালি গ্রামের আবদুর রশিদ শেখের মেয়ে। প্রায় ১২ বছর আগে পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের আবদুল কুদ্দুসের ছেলে সাগরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
রেশমার চাচা মুজিবর শেখ জানান, রেশমা তার স্বামীর সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকত। সাগর রিকশা চালাত। আর রেশমা গার্মেন্টসে চাকরি করে তাদের সংসার চালাত। সম্প্রতি দাম্পত্য কলহের জের ধরে রেশমা বাবার বাড়িতে ফিরে আসে। কিন্তু শুক্রবার দুপুরে সাগর মোবাইল ফোনে রেশমাকে কল করে তার কাছে তালাক চায়।
রাজি না হওয়ায় রেশমাকে ফোনে সাগর অনেক গালমন্দ করে। সন্ধ্যায় বাড়ির লোকজন নামাজের জন্য বাড়ির বাইরে গেলে সাগর অতর্কিতভাবে বাড়িতে ঢুকে বঁটি দিয়ে রেশমার ওপর হামলা চালায়। বাধা দিতে গেলে রেশমার ভাইয়ের মেয়ে স্মৃতির (১৩) শরীরেও আঘাত করে সাগর। এ সময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে সাগর পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পরিবারের লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় রেশমা এবং স্মৃতিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই রেশমাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান তার চাচা মুজিবর শেখ।
ঘটনাটির বিষয়ে মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।