মঙ্গলবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫, ০৬:৩৫:৪৪

গর্ভে বুলেটবিদ্ধ সোনামনিকে একনজর দেখবেন মা

গর্ভে বুলেটবিদ্ধ সোনামনিকে একনজর দেখবেন মা

মাগুরা : মাগুরার ছাত্রলীগের কোন্দলে মায়ের পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঢাকা মেডিক্যালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন শিশুটিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছে।  গুলিবিদ্ধ সেই নবজাতকের মুখ একনজর দেখতে মাগুরা থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আসছেন মা নাজমা খাতুন ও বাবা বাচ্চু ভূঁইয়া।


শিশুটি যে আইসিইউতে আছে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, শিশুটির শরীরে বেশকিছু জটিলতা দেখা দেয়ায় তার বিশেষ যত্নের প্রয়োজন।  এজন্য আজ সকালে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশু সার্জারির বিভাগীয় প্রধান আশরাফুল হক বলেন, গতকাল রাত থেকে শিশুটির কিছুটা অবনতি বলে মনে হচ্ছিল।  শিশুটির শরীরের প্লাটিলেট ৫০ হাজারে নেমেছে।  কিন্তু এর পরিমাণ কমপক্ষে দেড় লাখ হওয়ার কথা।  শিশুটিকে স্যালাইন দেয়া হচ্ছে।

এদিকে বুলেটবিদ্ধ সন্তানের মুখ দেখতে বৃহস্পতিবার দুপুরে মাগুরা সদর হাসপাতাল থেকে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে রওনা হয়েছেন শিশুটির মা।  সঙ্গে আছেন শিশুটির বাবা বাচ্চু ভূঁইয়া।

মাগুরা জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম এহ্সান উল্লাহর সহযোগিতায় বুলেটবিদ্ধ মা-নবজাতকের সাক্ষাৎ হতে যাচ্ছে।

মা নাজমা আক্তার বলেন, এতদিন পর সোনামনির মুখ দেখতে পাব জেনে ভালো লাগছে।  আপনারা আমার সন্তানের জন্য দোয়া করবেন।  একইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করলেন তিনি।

মাগুরা পুলিশ সুপার এ কে এম এহসান উল্লাহ বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।  এরই মধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মাগুরা শহরের দোয়ারপাড় কারিগরপাড়ায় ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নাজমা খাতুন গুলিবিদ্ধ হন।  ওই গুলি তার পেটের সন্তানের শরীরেও বিদ্ধ হয়।

ওইদিন রাতে মাগুরা সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর কন্যাশিশু প্রসব করেন মা নাজমা।  শিশুটির অবস্থার অবনতি হলে গত শনিবার রাতে নবজাতককে ঢাকায় পাঠানো হয়।  প্রসূতি মা মাগুরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ সংঘর্ষের ঘটনায় আহত মমিন ভূঁইয়া গত শুক্রবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এ ঘটনায় ছাত্রলীগের জেলা শাখার সহ-সভাপতি সেন সুমনকে (৩২) প্রধান আসামি করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন নিহত মমিনের ছেলে রুবেল ভূঁইয়া।  গত রোববার মামলাটি সদর থানায় দায়ের করেন তিনি।
৩০ জুলাই,২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে