মৌলবীবাজার: চা বাগানে কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। পাশেই ডোবা রয়েছে। সেখানে আবার কয়েকজন চা শ্রমিক কচুরিপানা তুলতে যান। হঠাৎই ছোট্ট এক সরীসৃপ দেখে চমকে ওঠেন তারা। হালকা পানির নীচে সেটিকে দেখে এগিয়ে যান কয়েকজন।
পুঁতির মতো ছোট চোখ, পানির নীচেই কিলবিলিয়ে উঠছে।ডোবার পানির নীচ থেকে উঁকি দিচ্ছে, কাছে যেতেই কেঁপে উঠলো বুক! পরে দেখা যায় সেটি অজগরের ছানা। অজগরের বাচ্চা হলেও ওজন কিংবা দৈর্ঘ্য খুব কম নয়। অজগরের বাচ্চাটি উদ্ধার করে চা বাগানের দেখভালের দায়িত্বে থাকা অফিস ঘরে নিয়ে যান শ্রমিকরা।
এই খবর ছড়াতেই শোরগোল পড়ে যায় মৌলবীবাজারের জুড়ি এলাকার ওই চা বাগানে। খবর দেওয়া হয় বনবিভাগে। ছুটে আসেন বনকর্মীরা। পরে অজগরের বাচ্চাটিকে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মৌলবীবাজারের জুড়ির কাপনা পাহাড় চা বাগান এলাকার ঘটনা।
চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, অজগরের বাচ্চাটি লম্বায় প্রায় চার ফুটের কাছাকাছি। ওজন ছয় থেকে সাত কেজি হবে। চা শ্রমিকরা জানান, বেলার দিকে চা বাগানের কাজের পর চার পাঁচজন বীরগোয়ালি এলাকায় একটি ডোবায় যান। কচুরিপানা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন তারা।
ডোবার পানিতে তাদের পা পড়তেই কিছুটা বোধহয় হকচকিয়ে যায় অজগরের ছানা। কিলবিলিয়ে ওঠে সেও। চা শ্রমিকদের কথায়, কুতকুতে চোখ, ঠিক যেন পুঁতি। কালো হিলহিলে গায়ে সাদা দাগ। ওই চার পাঁচজনের মধ্যে ছিলেন মহিলাও। চেঁচিয়ে ওঠেন তিনি। এরপরই বাকিরা এগিয়ে আসেন।