এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : কখনও মাছ, কখনও ধান আবার কখনও সবজি চাষের উর্বর ভূমি হাকালুকি হাওর। বর্ষা মৌসুমে হাওর ভরপুর থাকে মাছে। শীতকালে সবজি চাষ আর বোরো মৌসুমে হাওরের বুক জুড়ে বোরো আবাদ হয়। হাকালুকি হাওরে এ বছর বোরো ধানের পাশাপাশি বাদাম, ভুট্টা ও মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। তবে মিষ্টি কুমড়া চাষ করে বেশি লাভবান হয়েছেন কৃষকরা।
জুড়ীতে হাকালুকি হাওরের প্রায় ৯৪ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। চাষিরা বলছেন, কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় তারা মিষ্টি কুমড়া চাষে ঝুঁকছেন। কয়েকজন চাষীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মিষ্টি কুমড়া মাটিতে হয়। আবার মাচাঁ পদ্ধতিতে ও হয়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারজাত করে ন্যায্যমূল্য পাওয়ায় চাষিদের কষ্ট সফল হয়েছে।
উপজেলার বেলাগাও গ্রামের চাষি আতিকুর রহমান, আলমগীর হোসেন জানান, প্রায় ২ বিঘা জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষে সব মিলে খরচ হয় ৭-৮ হাজার টাকা। মিষ্টি কুমড়া চাষে কষ্ট কম হয়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। প্রতিদিন পাইকারি দামে এখান থেকে এসে ব্যবসায়ীরা মিষ্টি কুমড়া ক্রয় করেন। তাদের ক্ষেত থেকে প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার মত মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করা হয়েছে।
স্থানীয় চাষীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জমিতে মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছেন বেলাগাও গ্রামের কামাল মিয়া ও মালু মিয়া। ইতিমধ্যে তারা প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকার মতো মিষ্টি কুমড়া বিক্রি করেছেন।
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জসীম উদ্দিন বলেন, উপজেলায় এবার ৯৪ হেক্টর জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে। মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলনে চাষীরা অনেক খুশি। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে মাঠপর্যায়ে চাষিদের প্রযুক্তিগত পরামর্শ সহায়তা দেওয়া হয়। তিনি জানান, মিষ্টি কুমড়ার পাশাপাশি কৃষকরা হাকালুকিতে প্রায় ১৫ হেক্টর জমিতে বাদাম, ২০ হেক্টর জমিতে ভূট্রা চাষ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব ধরনের ফসল ভালো হয়েছে।