এমটিনিউজ২৪ ডেস্ক : নওগাঁর বাজারে শীতকালীন সবজি উঠতে শুরু করেছে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি মুলা ১-২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে বেগুন, ফুলকপি, পাতাকপি, পালং শাক, মুলা, টমেটো, বরবটি, করলা, লালশাক ও লাউসহ শীতকালীন নানা সবজি উঠেছে। সবজির দাম কমায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
জেলার বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোরে থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত সবজি কেনাবেচা চলে। বাজারে প্রতি কেজি সাদা বেগুন ১৫ টাকা, লাল বেগুন ১০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন দেশি লাল আলু ৩০-৩৫ টাকা, লাল শিম ৩০ টাকা ও সাদা সিম ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া প্রতি পিস ফুলকপি ১২-১৬ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা ও লাউ ১৫-১৮ টাকায় বিক্রি হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি সবজি প্রকারভেদে ১৫-২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার ইসমাইলপুর গ্রামের কৃষক নাজিম উদ্দিন বলেন, কিছুদিন আগে এক কেজি শিম বিক্রি হয়েছে ৭০-৮০ টাকা। সে শিম এখন ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সার, কীটনাশক ও শ্রমিকের দাম বেশি। ফলে উৎপাদন খরচ উঠাতে কষ্ট হবে।
ভান্ডারপুর গ্রামের রাজু দেওয়া বলেন, সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দাম মুলার। মনে হচ্ছে মুলার আবাদ করে আমরা ভুল করেছি। ১-২ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্ষেত থেকে ১৪ কেজি বেগুন হাটে নিয়ে এসেছি। দাম পাওয়া গেছে কেজি ১২ টাকা। এভাবে যদি সবজির দাম কম হয় আমাদের মাথায় হাত দেওয়া ছাড়া উপায় নাই।
সবজি ব্যবসায়ী উজ্জ্বল হোসেন বলেন, আমরা ৩০-৪০ জন সবজি ব্যবসায়ী আছি। প্রতিহাটে ১০-১১ লাখ টাকার সবজি বেচাকেনা হচ্ছে। তিনটি ট্রাকে করে এসব সবজি ঢাকা ও চট্টগ্রামে চলে যাচ্ছে।
নওগাঁর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আবু হোসেন বলেন, চলতি মৌসুমে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাকসবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। তবে ইতোমধ্যে ৮ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে শাকসবজির দাম কিছুটা বেশি থাকলেও উৎপাদন বেশি হওয়ায় কমেছে দাম। তবে কৃষকরা লাভবান হবেন বলে আশাবাদী।