নিউজ ডেস্ক: প্রতীক বরাদ্দের পর প্রথমবারর মতো নিজ নির্বাচনী এলাকায় গেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় ক্রিকেট দলের অনডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
শনিবার দুপুরে নিজ এলাকায় ভক্তদের ভালবাসায় সিক্ত হন মাশরাফি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে সড়ক পথে লোহাগড়ার প্রবেশদ্বার কালনাঘাটে আসেন তিনি। নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সাথে নৌকাযোগে কালনাঘাটের মধুমতি নদী পার হন। এর আগে সকাল থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী নদীপাড়ে অপেক্ষায় ছিলেন।
প্রিয় ক্রিকেটার ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ মাশরাফিকে কাছে পেয়ে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিভিন্ন পেশার মানুষ। প্রচন্ড ভিড়ের মধ্যে কালনাঘাটের মঞ্চে পৌঁছাতে মাশরাফিসহ সবাইকে হিমশিম খেতে হয়। এক পর্যায়ে মাশরাফি কিছুটা অসুস্থ হয়ে এ এলাকার একটি মুদি দোকানে অবস্থান নেন।
প্রায় আধাঘণ্টা পরে কালনাঘাটের মঞ্চে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মাশরাফি বলেন, নৌকা আমার প্রতীক। আপনারা আমাকে যোগ্য মনে করলে ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করবেন। আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আপনাদের কাছে আসার সুযোগ করে দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।
এদিকে নড়াইল শহর থেকে লোহাগড়া কালনাঘাট পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার সড়কের দুই পাশে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিশু-কিশোর, নারী-পুরুষসহ সব পেশার মানুষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
মাশরাফির সাথে ছিলেন তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, লোহাগড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নড়াইল পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, লোহাগড়া পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম, আমাদা আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ আল ফয়সাল খান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুজ্জামান মুকুল, সাধারণ সম্পাদক নিলয় রায় বাঁধন, লোহাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শিকদার নজরুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সদর উদ্দিন শামীম, মুন্সী শাহীন আহম্মেদ, মাসুম প্রমুখ। দলীয় নেতারা মাশরাফিকে বিজয়ী করার ব্যাপারে অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।