নড়াইল থেকে : নড়াইলে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহে প্রথমবারের মতো উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষ থেকে তালিকাভুক্ত কৃষকদের ফোন করে খোঁ'জখবর এবং বিভিন্ন নির্দে'শনা দেয়া হচ্ছে।
কৃষকরা যেন দা'লালের খ'প্পরে না পড়েন সেজন্য বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। খা'দ্যগু'দামের কর্মকর্তারাও কৃষকদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছেন। এতে বদলে গেছে নড়াইল, নলদী ও লোহাগড়ার কৃষকদের ধান বিক্রির চিত্র।
জানা যায়, সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের কৃষক মিন্টু সরকার, সঞ্জিত মহলদার ও অন্নদা বিশ্বাস ১৩ থেকে ২৫ বছর ধরে ধানচাষ করছেন। এবারই প্রথম ধান দিতে সদর উপজেলা খাদ্য বিভাগে (এলএসডি) এসেছেন।
তারা জানান, এমপি মাশরাফি বিন মর্তুজার পক্ষ থেকে ফোন করে তাদের লটারিতে ধান দেয়ার সুযোগ পাওয়ার তথ্য জানানো হয়েছে। তারা যেন গুদামে গিয়ে ধান দেন, সে ব্যাপারে উৎ'সা'হিত করা হয়েছে। কেউ অর্থ দাবি বা খা'রা'প ব্যবহার করলে জানানোর জন্য দুটি ফোন নম্বর দেয়া হয়েছে। আগে কখনও এভাবে ফোন করেননি কোনো এমপি।
মাশরাফি বিন মর্তুজার কৃষিবিষয়ক প্রতিনিধি মো. তাজুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ কৃষক জানেন না তারা তালিকাভুক্ত হয়েছেন। বিষয়টি জানাতে এবং প্রভাবশালী ও কোনো সিন্ডিকেট যাতে গুদামে ধান দিতে না পারে, সেজন্য ক'ষ্ট হলেও কৃষকদের ফোন করা হচ্ছে। এমপির আশা, প্রকৃত কৃষকরা যেন জানতে এবং সরাসরি গুদামে এসে ধান দিতে পারেন। আগামী বোরো মৌসুমেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
নড়াইল সদর উপজেলা খাদ্যগুদামের (এলএসডি) পরিদর্শক তরুণ বালা বলেন, খাদ্যগু'দামের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে মাইকে প্রচার এবং লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। খাদ্যগু'দামের দেয়ালেও কৃষকদের তালিকা টা'ঙিয়ে দেয়া হয়েছে। এবারই প্রথম এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এমপি মাশরাফির প্রতিনিধিরা কৃষকদের ধান দিতে অনেক সহযোগিতা করছেন। না হলে রা'ঘববো'য়ালদের ঠেকানো সম্ভব হতো না।
লোহাগড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মান্নান আলী বলেন, এমপি মাশরাফির পক্ষ থেকে কৃষকদের ফোন করে গু'দা'মে ধান দিতে উৎ'সা'হিত করা খুবই ইতিবাচক পদক্ষেপ। এটি সারাদেশের একটি মডেল হতে পারে।