নড়াইল : চেয়ারম্যান প্রার্থী হতে চান নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার সেই নির্যাতিত গৃহবধূ ববিতা খানম। কাশিপুর ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান তিনি। গরিব-দুঃখী ও অসহায় নারীদের জন্য কাজ চান শালবরাত গ্রামে গাছে বেঁধে নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধূ।
পঞ্চমধাপে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ববিতা। তিনি বলেন, যারা আমাকে নির্যাতন করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম এক আসামি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। তার মতো ব্যক্তি নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছে জেনে আমি ব্যথিত।
ববিতা বলেন, তিনি যদি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন, তবে আমার বাধা কোথায়? আমি বিজয়ী হয়ে গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আর কোনো নারী যাতে আমার মত অমানবিক নির্যাতনের শিকার না হয় তা নিয়ে কাজ করতে চাই।
জানা গেছে, এখনো পুলিশি প্রহরায় দিন কাটছে ববিতার। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারেননি তিনি। নির্যাতনের এক বছরেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেননি। শারীরিক যন্ত্রণা সহ্য করে এখনো তাকে ওষুধ সেবন করতে হচ্ছে।
রাজমিস্ত্রি বাবার দরিদ্র সংসারে অনেক কষ্টে দিন যাচ্ছে তার। নিরাপত্তার জন্য এখানো পুলিশি প্রহরা রয়েছে ববিতার।
ববিতা খানম জানান, কোমরে, পেটে, বাম পায়ের হাটুতে যন্ত্রণাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। ডা. মায়া রানীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে তার
উল্লেখ্য,২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল সকালে গৃহবধূ ববিতা খানমকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন লোহাগড়া উপজেলার শালবরাত গ্রামে গাছের সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক লাঠিপেটা করেন।
এ ঘটনায় ওই বছরের ৫ মে ববিতার মা লোহাগড়ার এড়েন্দা গ্রামের খাদিজা বেগম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লোহাগড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় ববিতার স্বামী শফিকুল শেখ, শফিকুলের বাবা ছালাম শেখ, মা জিরিনা বেগম, ভাই আবুল হাসানসহ আটজকে আসামি করা হয়।
এ ঘটনায় ৮ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নজরুল ইসলাম। আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।
২১ এপ্রিল,২০১৬/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এমআর/এসএম