নড়াইল : দেলোয়ার হোসেন পান্নার সব ভালোবাসা আওয়ামী লীগের জন্য। দলকে ভালোবাসলেও ইউপি নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। খশরুর রহমান পলাশ নামের একজনকে নৌকার মনোনয়ন দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কী! পুরো ইউনিয়নে রয়েছে তাঁর তুমুল জনপ্রিয়তা। ওই জনপ্রিয়তার ওপর ভর করেই তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হলেন।
কিন্তু গত শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিজের ভোটটি দিলেন নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে। দলের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তিনি এমনটি করেছেন বলে জানিয়েছেন। নিজের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বীকে দেওয়ার পরও ৮৪৯ ভোট বেশি পেয়ে তিনি জিতেছেন।
নড়াইল সদরের শাহাবাদ ইউনিয়নের নির্বাচনে গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে চরবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে নৌকা প্রতীকে ভোট দেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী পান্না।
এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমি নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হই। ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দিয়েছি একসময়। পরে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়েছি। আমি দল করি মনপ্রাণ দিয়ে। গত বছর এই ইউনিয়নে মানুষের সমর্থন নিয়ে অল্প ভোটে হেরেছি। আমি কোনো সদ্য গজানো আওয়ামী লিগার নই। তৃণমূলের আওয়ামী লীগ আমাকে সমর্থন করেছে। তারা আমাকে ভালোবেসে ভোট দিয়েছে। কিন্তু আমি জন্ম থেকে যে প্রতীকে ভোট দিয়ে আসছি, সেই প্রতীককেই ভালোবাসি। আমাকে বাদ দিলেও আমি নৌকায় ভোট দেব।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবাস চন্দ্র বোস বলেন, ‘ঘটনাটি পরিষ্কার না হয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। তবে এ রকম হয়ে থাকলে এটা বড় ব্যাপার।’ কালের কন্ঠ
২৫ এপ্রিল, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪.কম/সৈকত/এমএস