শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:৩৩:৫৯

প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়েই কনের জায়গায় ভাবিকে বসিয়ে বিয়ে!

প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়েই কনের জায়গায় ভাবিকে বসিয়ে বিয়ে!

নাটোর থেকে : নাটোরের গুরুদাসপুরে জাঁকজমকভাবে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। আত্মীয় ও স্বজনদের আনন্দ যেন ধরছিল না। কিন্তু সে আনন্দে পানি ঢেলে দিল প্রশাসন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এদিকে খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে হাজির হলেন গুরুদাসপুর সহকারী কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।

প্রশাসনের গাড়ি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই বদলে গেলো কনে। শুধু তাই নয় যে ইমাম কবুল পড়াবেন তিনি এসিল্যান্ডকে দেখেই ভো দৌড়। কনের জায়গায় কনের ভাবিকে বসিয়ে শুরু হয় নাটকীয় অভিনয়।

ওই কনের ভাবীকে কনে বলে পরিচয় দিলে তাকে এবং কনের ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় উপজেলায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, কনে বিউটিকে পালিয়ে দিয়ে তার ভাবি শ্রাবনী কনে সেজে কনের জায়গায় বসেছিলেন।

জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছরের এক ছাত্রীর বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে ফোন করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেনের কাছে। 

পরে তার খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ওই বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে কনেকে না পেয়ে কনে সেজে বসে থাকা কনের ভাবি ও তার ভাইকে আটক করে নিয়ে আসে।

পরে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। এদিকে নাটোরের গুরুদাসপুরে বাল্যবিয়ের অনুষ্ঠান থেকে মিম (১৩) ও মানিক নামে বর-কনে আটক করেছে সহকারী কমিশনার নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান।

মিম ওই গ্রামের মিলন প্রামানিকের মেয়ে। সে কাছিকাটা স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকে ২০১৯ সালে জেএসসি পরীক্ষা দেবে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাত আটটার দিকে ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে তথ্য পেয়ে মশিন্দা ইউনিয়নের রানী গ্রাম থেকে তাদের আটক করা হয়। ওই সময় প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে সবাই পালাতে সক্ষম হলেও বর-কনেকে আটক করা হয়।

ওই সময় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন ও এস আই লেবু মিয়াসহ কয়জন পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে