 
                                        
                                        
                                       
                                        
                                             
                                                                                    
নিউজ ডেস্ক : বিএনপি-জামায়াত জোট ধর্মের নামে ও ধর্মের কথা বলে নারীদের ঘরে বন্দী করে রেখেছিল বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। শুক্রবার পঞ্চগড়ের এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ধর্মীয় অনুশাসনের অপপ্রয়োগ, সামাজিক অবস্থা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা ও কুসংস্কারের ফলে সমাজে বৈষম্য বাড়ে। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে নারীদের সমাজে অবদান রাখতে হবে। নারীদের নিজেদেরকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিজেদেরকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
শুক্রবার পঞ্চগড় সরকারি মিলনায়তন চত্বরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৯ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ছিলেন রেলপথমন্ত্রী।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ক্ষমতায়নে বৈরী পরিবেশের মধ্যেই অনেকগুলো কার্যকর কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছেন। তিনি স্থানীয় সরকার থেকে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত নারীদের জন্য সংরক্ষিত আসনের ব্যবস্থা করেছেন।
তিনি বলেন, “পুলিশ, প্রশাসন, বিজিবি, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীতে নারীরা পুরুষের সমান অবদান রাখছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে।”
এর আগে মন্ত্রী বেলুন উড়িয়ে নারী উন্নয়ন মেলার শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। বিভিন্ন পসরা নিয়ে মেলায় সরকারি-বেসরকারী সংস্থার ১০ টি স্টল বসেছে। জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পঞ্চগড় সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ কানাই লাল কুন্ডু, পুলিশ সুপার গিয়াসউদ্দিন আহমদ, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্বাস আলী, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান রেজিয়া ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। পঞ্চগড় জেলা পরিষদ সদস্য আকতারুন নাহার সাকীর পরিচালনায় জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রুখশানা মমতাজ স্বাগত বক্তব্য দেন।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে ডিয়াকোনিয়া বাংলাদেশে-এর সহযোগিতায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মানব কল্যাণ পরিষদ ছাত্রীদের নিয়ে পঞ্চগড় শহরে এক বাইসাইকেল শোভাযাত্রার আয়োজন করে।
জেলা শহরের বানিয়াপট্টি এলাকা থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে তিন কিলোমিটার দুরে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা সড়কের হ্যালিপ্যাডে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় সদর উপজেলার দেওয়ানহাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রী অংশগ্রহণ করেন।