রাঙ্গামাটি থেকে : রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার কংলাক থেকে নির্বাচনি সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে প্রিজাইডিং অফিসারসহ পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নয়মাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরো ৭-৮ জন গুলিবিদ্ধ বলেও জানিয়েছেন তিনি। আহতদের বাঘাইছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটির পুলিশ সুপার আলমগীর কবীর জানিয়েছেন, বাঘাইছড়ির কংলাক থেকে নির্বচনি সরঞ্জাম নিয়ে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে তিনজন নিহত হয়েছেন। তবে নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
এর আগে জালভোট ও কারচুপির অভিযোগ এনে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি, নানিয়ারচর ও কাউখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ছয় চেয়ারম্যান ও চার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা ভোট বর্জন করেছেন।
কেন্দ্রে যেতে বাধা ও রাতে ব্যালটবাক্স ভর্তির অভিযোগে সোমবার বেলা ১২টার দিকে তারা নির্বাচন স্থগিত করার আবেদন জানিয়ে রাঙ্গামাটির রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন জনসংহতি সমিতির নেতা পঞ্চানন চাকমা, যানচিনা চাকমা, ইউপিডিএফ সমর্থিত রূপম চাকমা ও কেনারঞ্জন চাকমা। নানিয়ারচর উপজেলা সদরে স্থানীয় সাংবাদিকদের তারা এ তথ্য জানান।
এ ছাড়া ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে বাঘাইছড়ি উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সমীরণ চাকমা, সুমিতা চাকমা, নানিয়ারচরে কোয়ালিটি চাকমা ও রণবিকাশ চাকমা ভোট বর্জনে ঘোষণা দেন। যদিও ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণ করতে রাঙ্গামাটির প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রে সেনাবাহিনী র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পঞ্চম উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটির ১০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে সকাল থেকে রাঙ্গামাটি জেলার ২০৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ শেষ করে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা।