রবিবার, ২৮ জুন, ২০২০, ০১:২২:৪৭

রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০ বছরে সর্বোচ্চ আউশ ধানের ফলন রংপুরে

রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০ বছরে সর্বোচ্চ আউশ ধানের ফলন রংপুরে

রংপুর : এবার রংপুর অঞ্চলে সর্বাধিক আউশ ধানের উৎপাদন হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দুই যুগের আউশ ধানের যে উৎপাদন গড় সূচক ছিল এবার তা রেকর্ড পরিমাণ ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী যে ঘোষণা দিয়েছিলেন- করোনাকালে এক ইঞ্চি কৃষিজমিও ফেলে রাখা যাবে না। হয়ত কৃষকরা সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ অতিরিক্ত ধান উৎপাদন মনোযোগী হয়েছেন। ধানের এ উৎপাদন রংপুর অঞ্চলে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য সুফল বয়ে আনবে।

এবার রেকর্ড পরিমাণ ৬৩ হাজার ৬৯০ হেক্টর জমিতে আউশ ধান রোপণ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রা ৫৯ হাজার ৬৭৫ হেক্টরের চেয়ে ৪ হাজার ১৫ হেক্টর বেশি অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ৭ শতাংশ বেশি।

২০০০-০১ মৌসুমে এ অঞ্চলে আউশ আবাদ হয়েছিল ২৫ হাজার ৭৩৪ হেক্টর জমিতে, পরবর্তী বছরগুলোতে ক্রমাগত আউশ আবাদের এলাকা কমতে থাকে এবং ২০০৯-১০ সালে সর্বনিু ১২ হাজার ৯৩৮ হেক্টর জমিতে আউশ আবাদ হয়। ২০০৯-২০১০ সালের আউশ আবাদের তুলনায় এবার আবাদ হয়েছে প্রায় ৫ গুণ।

আবাদের এলাকা বৃদ্ধির পাশাপাশি বেড়েছে হেক্টরপ্রতি গড় ফলন। ২০১৭-১৮ মৌসুমে হেক্টরপ্রতি চাল উৎপাদন হয়েছিল ২.৯৮ টন, ২০১৮-১৯ মৌসুমে বেড়ে হয়েছে হেক্টরপ্রতি ৩.০৪ টন।

এ বছর হেক্টরপ্রতি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৩.০৭ টন চাল উৎপাদন হলে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলা থেকে ১ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৮ টন চাল চলতি আউশ মৌসুমে উৎপাদিত হবে; যা মোট উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২ হাজার ৫৯ টন বেশি।

ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করে বৃষ্টির পানিকে কাজে লাগিয়ে আউশ আবাদকে জনপ্রিয়করণের জন্য বর্তমান সরকারের নানান পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে আউশ আবাদ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর রংপুর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ আলী জানান, এ অঞ্চলে জমির প্রায় অর্ধেক ‘বোরো-পতিত-রোপা আমন’ শস্যবিন্যাসের আওতায় রয়েছে।

এর মধ্যে আউশ উপযোগী জমিকে আউশভিত্তিক তিন ফসলি জমিতে নিয়ে আসার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন চলছে মাঠপর্যায়ে। এর ফলে আউশের আবাদ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এ অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বাড়বে।

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে