বরকতুল্লাহ, রংপুর প্রতিনিধি- রংপুরে কৃষিতে বিপ্লব হয়ে উঠেছে। তবুও নানান সমস্যায় চাষীরা দিশাহারা হয়ে থাকছেন।
জানা গেছে গত কয়েক বছরে রংপুর বিভাগে চাষীরা ব্যাপক জমিতে চাষাবাদের উদ্যোগ নিয়ে ভুট্টা, ধান, পাট, আখ, আলু, মরিচ, আদা ,বাদাম, সিম কুমড়া, আম, কাঠাল, লেচু, কাউন, তরমুজ, পেয়ারা, কচু, জলপাই, সহ নানান জাতির সবজি ফলমুল চাষাবাদ হচ্ছে। বেশ কয়েক বছর আগে অর্থ অভাবে পানি অভাবে অনেক জমি অনাবাদী থাকত। চাষীরা কৃষি ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋন নিয়ে সর্বস্তরের জমিতে ভুট্টা, ধান, পাট, আখ, আলু, মরিচ, বাদাম, সিম কুমড়া, আম, কাঠাল, লেচু, কাউন, তরমুজ, পেয়ারা, কচু, জলপাই ফলমুল সবজি চাষাবাদ করছেন। চাষীরা জমিতে চাষাবাদ করে বসে নেই। নদী, নালা, খাল বিলের জেগে উঠা পলি মাটি ও বালু মাটির চরে ধান, পাট, আখ, কুমড়া, শশা, বাদাম, ভুট্টা, নানান ফলমুল সবজি চাষাবাদ করছেন ফলন ও ভাল হচ্ছে।বর্ষা মেীসুমে ও আমন ধান সহ নানান আবাধ চাবাদ হচ্ছে। চাষীরা এসব চাষাবাদ করে ব্যাপক লাভবান হচ্ছে তবুও চাষীরা দিশাহারা হয়ে উঠছেন। কখনো আবহাওযা অনুকুলে থাকা কখনো আবহাওযা অনুকুলে না থাকা এবারে চলতি বর্ষামৌসুমে বৃষ্টিতে বন্যা দেখা দেওয়ায় আমন ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষতি হযেছে । এছারা গত কয়েক বছর থেকে হরতাল অবরোধ চলায় ও সংঘাত চলার কারণে চাষীরা তাদের ফলন সময় মত ন্যায মুল্যেই বিক্রি করতে পারিনি। চাষীরা তাদের ফলন পানির দামে বিক্রি করে দিয়ে মাটির কোলে ঢেলে পড়ে যাচ্ছেন আর চাষীদের ঋনের অর্থ পরিশোধ করতে না পারায় তারা ঋনের অর্থ জোগাড় করার জন্য দিশাহারা হয়ে উঠেন ফলে ঋণের অর্থ সময়মত পরিশোধ করতে না পারেন । অর্থ অভাবে পুনরায় জমিতে চাষীরা চাষাবাদ করতে পারেনা । যদিও পারেন চাষীদের উচ্চমূল্য দিয়ে সুদের অর্থ দাদন ব্যবসায়ীদের কাজ থেকে নিয়ে জমি ফলন চাষাবাদ করতে হয় । এতে চাষীরা ফের অর্থ সংকটে পড়ছেন। ফলে বিভাগের চাষীরা দিন দিন দরিদ্র হয়ে পড়ছেন ।
২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫/এমটিনিউজ২৪/প্রতিনিধি/এইচএস/কেএস